কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা, যদি আপনি আপনার রূপচর্চা করতে চান তাহলে সস্তায় আপনি আপনার রূপচর্চা করতে পারেন। আমরা প্রতিনিয়ত কত কলা খায় সেই কলা খোসা দিয়ে আমরা খুব সহজেই আমাদের রূপচর্চা করতে পারি।
কলার-খোসা-দিয়ে-রূপচর্চা

কলার খোসাই প্রচুর প্রয়োজনীয় মিনারেল আর পর্যাপ্ত এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ফলে সস্তায় রূপচর্চা করতে হলে এখন থেকে আর কলার খোসা ফেলে না দিয়ে রূপচর্চায় ব্যবহার করবেন। এই করার খোসা দিয়ে কোন টাকা পয়সা খরচ ছাড়াই আপনি সহজেই আপনার রূপচর্চা করতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা, এটি একটি সহজলভ্য পদ্ধতি। আপনি যদি আপনার রূপচর্চা করতে চান তাহলে কোন ক্রিম ব্যবহার না করেই আপনি খুব সহজেই কলার খোসা ব্যবহার করে রূপচর্চা করতে পারেন। চলেন এবার রূপচর্চা করার নিয়ে আলোচনা করি।

ত্বকের যত্ন - চোখে মুখে কালো দাগ থাকলে কলার খোসা ব্যবহার করে দূর করা যেতে পারে। কলার খোসা ছোট ছোট টুকরো করে নিন। এরপর মুখে ও গলায় ভালোভাবে ঘষে নিন। এরপর অন্তত 20 থেকে 25 মিনিট পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরপর দেখবেন আপনার ত্বকের তিল তেল যে ভাবটি ছিল সেটা চলে গেছে। এভাবে কয়েকদিন করলে আপনার চোখের নিচের কালো দাগও দূর হয়ে যাবে।

দাঁতের যত্ন - বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা রয়েছে গলার খোসার। আপনি যদি দাঁতের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগেন। তাহলে কলার খোসা আপনার জন্য অনেক উপকারে আসবে। এছাড়াও দাঁতে দাগ থাকলে দিন কয়েক দিন ভালোভাবে কলা খোসা ঘষে নিন। এক সপ্তাহের মধ্যে আপনার দাঁত ঝকঝকে সাদা হয়ে যাবে।

মশার কামড় - এখন আমাদের আশেপাশে সব জায়গাতেই মশা। প্রতিনিয়ত আমাদের মশার কামড় খেতে হয়। এই মশার কামড়ের ফলে আমাদের চুলকানি হয়। মশার কামড়ের ফলে ত্বকে জ্বালা ও চুলকানি ঝেঁকি মুক্তি দিতে পারে এই কলার খোসা মশা কামড়ানো জায়গায় করার খোসা ভালো হয়ে ঘষে নিন।এতে দেখবেন জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি দুটোই কমে গিয়েছে।

ঠোঁটের যত্ন - ঠোটের যত্নে একটি উপকারী উপাদান। কলাতে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে এটা ঠোঁটে ঘষে নিলে ঠোঁটের আদ্রতা বাড়ে। বিভিন্ন উপাদান ঠোঁটে লাগালে যেমন চকচক করে ঠিক তেমনি চকচক করে কলার খোসা ব্যবহার করলে।

আরো পড়ুনঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

বলিরেখা দূর করে - কলা তোকে অনেক আদর ও পুষ্টিগুনে ভরে রাখে। ফলে যারা নিয়মিত কলা খান, তাদের বলরেখা এমনিতেই কম হয়। বাট উপকার পেতে আপনি কলার খোসা মিক্সারে বেটে নিন তাতে একটা ডিমের কুসুম মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুন। এরপর এই পেস্ট মুখে মেখে নিন। তারপর ৫ মিনিট রেখে দিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। এরপর দেখবেন আপনার ত্বক অসম্ভব নরম এবং মসৃণ হয়ে গেছে।

আচিঁল কমাতে - আঁচিল কমাতে কলার খোসা অনেক উপকারী। চাঁদের ঘন ঘন আঁচিল হয়। তারা আঁচিলের ওপর কলার খোসার সাদা অংশটুকু ঘুষে নিন। এরপর এক টুকরো কলার খোসা আঁচিলের ওপর চাপ দিয়ে গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে বেধে দিন। এভাবে কিছুদিন করলেই চিরতরে বিদায় হয়ে যাবে আঁচিল।

ত্বকের যত্নে কলার উপকারিতা

ত্বকের যত্ন করার উপকারিতা অপরিসীম। কলা দামে কিছুটা কম আর পুষ্টিগুনে ভরপুর। আপনি কলার উপকারিতা জানলে একদিনও কলা খাওয়ার তালিকা থেকে বাদ দিতে চাইবেন না। কলার খোসা ত্বকের উপর প্রয়োগ করলেই আপনি ত্বকের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে পারবেন। তাই ত্বকের জন্য কলার উপকারিতা অনেক। ত্বকের উপর কলার কিছু উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে - এক চা চামচ কমলার রস, এক্স মধুর সাথে অর্ধেক কলা ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। এরপর পাঁচ থেকে দশ মিনিট রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো হয়ে ধুয়ে নিন। এভাবেই নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

বলরেখা দূর করতে - বিভিন্ন বলরেখা দূর করতে অর্ধেকটা কলার সাথে টক দই এবং কয়েক ফোটা লেবুর রস একসঙ্গে মেশিন নিন। এরপর মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে তাতে এই মিশ্রিত পেস্টটি লাগিয়ে নিন। এরপর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

কালো দাগ দূর করতে - কালো দাগ দূর করতে, একটি পাকা কলা, এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ লেবুর রস নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর এই পেজটি ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে নিন। ৫-৭ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে দেখতে পাবেন আপনার ত্বকের কালো দাগ গুলো দূর হয়ে গেছে।

ব্রণ দূর করতে - একটা পাকা কলা, আদর্শ চামচ বেকিং সোডা এবং আধা চা চামচ হলুদের গুড়া সাথী পরিমাণ মতো পানি নিয়ে ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর ব্রণের জায়গা গুলোতে ব্যবহার করুন। এরপর ১০:১৫ মিনিট রেখে দিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার মুখ থেকে ব্রণ দূর হয়ে যাবে। তাছাড়া যাদের অনেক ব্রণের সমস্যা তারাপ্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে - কলাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ বিদ্যমান। এই কলার খোসা মুখে মেখে নিন। এভাবে কয়েকদিন মাখলে দেখতে পাবেন আপনার ত্বক নরম ও নমনীয় হয়ে গেছে।

ওজন কমাতে - ফাইবার শুধু কোলেস্টরি কমায় না। সেই সাথে সাথে ওজন কমাতে সাহায্য করে। সত্যি বলতে ফাইবার সংযোগ খাবার খাওয়ার পরে পেট অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভর্তি থাকে। এর ফলে বেশি মাথায় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এছাড়াও শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা বৃদ্ধি পায় যারা হজম ক্ষমতা উন্নত ঘটায়। এইভাবে গলার খোসা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুনঃ লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

চুল পড়া কমাতে কলার ৬ টি ব্যবহার

কলার-খোসা-দিয়ে-রূপচর্চা
চুল পড়া কমাতে করার ব্যবহার এটি একটি উপকারী বিষয়। এখন অনেক মানুষের চুল পড়ে যায়। অকালে চুল পড়ে যাওয়ার ফলে নানান ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই চুল পড়া কমাতে নিচের কলার ছয়টি ব্যবহার জেনে নিন।

কলা ও মধু

রুক্ষ হয়েছে তারা কলা ও মধুর প্যাক কি ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার চুলের হারানো উজ্জ্বলতা আবার ফিরে আসবে। দুটি পাকা কলা এবং দুই টেবিল চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এই প্যাকটি পুরো চুলে ব্রাশের সাহায্যে লাগিয়ে নিন। এরপর কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। এক ঘন্টা পর চুল ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু করুন। এইভাবে প্রত্যেক সপ্তাহ ব্যবহার করলেই চুল ঝকঝক দেখাবে।

কলা এবং অলিভ অয়েল

যাদের চুলে অতিরিক্ত রং করার ফলে চুলভঙ্গ হয়ে গেছে অথবা চুল পড়া বেড়ে গেছে তারা এই প্র্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এই ব্যক্তি ব্যবহারের ফলে চুল মজুদ হবে এবং মলিন হবে। একটি পাকা কলা এবং দুই টেবিল চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে মসৃন পেস্ট তৈরি করুন। এরপর পুরো মাথায় এই প্যাকটি লাগিয়ে রাখুন এবং শাওয়ার কেপ দিয়ে ঢেকে নিন। ৩০-২৫ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন। অলিভ অয়েল না থাকলে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।

কলা ও টক দই

অর্ধেকটা পাকা কলা নিন এবং এর সাথে তিন টেবিল চামচ টক দই ও এক টেবিল চামচ পাতি লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলের গোড়া ও মাথায় ত্বকে লাগিয়ে নিন। সম্পূর্ণ চুলে লাগাবেন না। ২০-২৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। টক দই চুলকে খুশকিমুক্ত এবং চুলকে মসৃন রাখে।

কলা, পেঁপে ও মধুর প্যাক

উডেন ইলিশ মিনিস্টারপ্রোটিন সমৃদ্ধ এই পেজটি উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশাপাশি চুল শক্তিশালী করে তুলে। একটি পাকা কলা পিষে এর সঙ্গে ৪-৫ টুকরা পাকা পেঁপের মিশ্রণ যোগ করে নিন। এরপর দুই চা চামচ মধু নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি সম্পূর্ণ চুল ও মাথার ত্বকে লাগান। এরপর টুপির সাহায্যে চুলটি ঢেকে রাখুন। তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে প্রথমে হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

কলা, ডিম ও লেবুর রস

অনেক আছে যাদের চুল সহজে লম্বা হতে চাই না। কলা আমাদের চুলকে লম্বা করে। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন কলার প্যাক ব্যবহার করুন। দুটি কলা, একটি ডিমের কুসুম ও এক চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন. এরপর এই প্যাক ভালো করে মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে নিন। একটি প্লাস্টিক দিয়ে মাথা মুড়ে ফেলুন। এর উপর আরেকটি তোয়ালে পেঁচিয়ে নিন। এভাবে এক ঘন্টা রাখুন। তারপর ভালো করে পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

কলায় ও নারকেলের দুধ

পাকা কলার সাথে নারকেল দুধ যোগ করুন। আপনার চুলের উপরে একটি প্রয়োগ করুন এবং ২৪-২৫ মিনিট ধরে চুলের লাগিয়ে রাখুন। এই প্যাকটি সাধারণত রুক্ষ চুলের মধ্যে ময়েশ্চারাইজার ফিরিয়ে আনে। তাছাড়া এই প্যাকের সাথে কপি পাউডাল মিশিয়ে নিলে চুলের মধ্যে একটা প্রাকৃতিক ব্রাউন রং আসবে।

কলার খোসার পাউডার মুখে কিভাবে ব্যবহার করবেন

একটি কলার খোসার স্ক্রাবার তৈরি করুর: কলার খোসা এবং মধু দিয়ে পরিব্রত চিনির ছোট দানা গুলি সেরা প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর গুলির মধ্যে একটি।

ধাপ ১ঃ একটি কলার খোসা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন এবং তিনিও মধু দিয়ে এক টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো করুন।

ধাপ ২ঃ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং এই পেজটি আপনার মুখে লাগিয়ে আধা ঘন্টা রেখে দিন।

আরো পড়ুনঃ কালোজিরা ও মধু খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

কলার খোসার নানার উপকারিতা

কলার খোসার আছে নানান উপকারিতা। কলার খোসা ফেলেনা দিয়ে একে বিভিন্ন কাজে লাগানো যায়। এটা দ্বারা ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। এছাড়া এটার আছে আরো উপকারিতা। কলার খোসা দ্বারা হজম ক্ষমতা বাড়ানো যায়। এছাড়াও দাঁতের উজ্জলতা, ব্রণ দাঁড়াতে, ত্বকের বলি রেখা দূর করতে, শরীরের ব্যথা উপশম করতে, অতি বেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা করতে ব্যবহার করা যায়।

যেসব কাজে কলা খোসা আমাদের উপকারে আসে এর তালিকা সমূহ হল-

  • ত্বকের যত্নে
  • দাঁতের যত্নে 
  • মশার কামড়ে
  • ঠোঁটের যত্নে
  • বলিয়ে রাখা দূর করতে
  • আঁচিল কমাতে
  • মুখের কালো দাগ দূর করতে
  • ব্রণ দূর করতে
  • ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে
  • ওজন কমাতে
  • চুল পড়া দূর করতে
  • অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা করতে
  • শরীরের ব্যথা উপশম করতে

 ৭ দিনে ব্রণ দূর করতে কলার খোসার ব্যবহার

৭ দিনে ব্রণ দূর করতে কলার খোসার উপকারিতা অনেক। দেখেন আমরা অনেক সময় কলা খেয়ে কলার খোসা ফেলে দিই। কিন্তু কলার এই খোসায় ভালো করতে পারে আমাদের ব্রণ সমস্যা। এছাড়াও স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী কলার খোসা। গাছের গোড়ায় সার হিসেবে কলার খোসা ব্যবহার হয়। তাই কলার খোসা ফেলি না দিয়ে একে আমরা কাজে লাগাতে পারি।

ব্রণ থেকে দাগছোপ - আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে কলার খোসায়। শুধুমাত্র আমাদের জানতে হবে এই প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার। কলার খোসা নিয়ে সরাসরি ত্বকের উপর ঘষে নিতে পারেন। এতে ব্রণের দাগ এমনকি বলিরেখাও দূর হয়ে যাবে। ১৫ মিনিট ধরে কলার খোসা ত্বকের উপর ঘষিয়ে নিন এতে উপকার পাবেন। এছাড়া কলার খোসা দ্বারা পায়ের ফাটাও দূর করা যায়।

এক সপ্তাহ টানা মুখে করার খোসা ঘুষতে থাকুন। নিজে নিজেই এর উপকার দেখতে পাবেন। কলার খোসায় আন্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে, যা আমাদের ত্বকের প্রদাহ ও ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। কলার খোসায় ভিটামিন সি রয়েছে তাই কলার খোসা মুখে ব্যবহার করার ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায়। ফলের ত্বক টানটান থাকে।

কলার খোসা দিয়ে মুখ ফর্সা

যদি আপনি আপনার মুখ ফর্সা করতে চান তবে কলার খোসা আপনার জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। কেননা কলার খোসায় পারে আপনার মুখ ফর্সা করতে। তাই বসে না থেকে আপনি এই কলার খোসা ব্যবহার করে খুব সহজেই মুখ ফর্সা করতে পারে না। কিভাবে এটি ব্যবহার করবেন তা এখন জানাবো।
কলার-খোসা-দিয়ে-রূপচর্চা

এক চামচ কম রস, এক চামচ মধুর সাথে অর্ধেক কলা ভালো করে চটকে নিন। তারপর এই প্যাকটি আপনি ভালো করে মুখে ও ঘাড়ে সাত থেকে দশ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে যদি আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পাবে।

কলার খোসা ও মধুর ব্যবহার

কলার খোসা ও মধু আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। মধু ত্বকের কালচে ভাব দূর করে। কলার খোসার ভেতরের যে অংশটুকু আছে সেটা বেটে তার সঙ্গে কয়েক ফোটা মধু মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে একটি ভালো মাস্ক। এখন ফেস ওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। তারপর এই মাস্ক ভালোভাবে আপনার মুখের উপর লাগিয়ে নিন।
এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ভালোভাবে মুখটি ধুয়ে নিন। এরপর দেখতে পাবেন আপনার মুখের কালচে ভাব উধাও হয়ে গেছে। এইভাবে আপনি কলার খোসা ফেলে না দিয়ে আপনার ত্বকের যত্নের জন্য একটি প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। যা বিনা পয়সায় আপনার ত্বককে করবে উজ্জ্বল।

    লেখকের শেষ কথাঃ কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা

    কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা, এটি একটি সহজলভ্য উপায়। কোন প্রকার টাকা খরচ ছাড়াই আমরা নিয়মিত যে কলা খায় সে কলার খোসা দিয়ে আমরা আমাদের রূপচর্চা করতে পারি। কলার খোসা দিয়ে আমরা আমাদের মুখের দাগ, মুখে ব্রণ, বলিরেখা ইত্যাদি দূর করতে পারি। তাই রূপচর্চার একটি সহজলভ্য উপাদান হচ্ছে কলার খোসা।

    যদি আপনারা আপনাদের রূপচর্চা নিয়ে চিন্তায় থাকেন। তবে আপনারা কলার খোসা ব্যবহার করে খুব সহজে রূপচর্চা করতে পারেন। এর দ্বারা আপনারা অনায়াসে অনেক উপকার পাবেন আপনাদের রূপচর্চায়। তাই যদি আপনারা রূপচর্চায় আগ্রহী হন তাহলে আপনারা এই পোস্টটি পড়তে পারেন।


    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    শান্তি আইটিতে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url