নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা, নিম গাছ একটি ঔষুধিক গুণসম্পূর্ণ গাছ। দৈনন্দিন জীবনে নিম পাতার অনেক উপকারিতা আছে। এর পাশাপাশি নিম পাতার অনেক অপকারিতাও আছে। কিন্ত নিম পাতার অপকারের চেয়ে উপকারই  বেশি।

নিম-পাতার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

নিম পাতা ব্যবহার করার মাধ্যমে অনেক রোগ থেকে আরোগ্য লাভ পাওয়া যাই। যেমন- দাঁতের রোগ সারাতে,ওজন কমাতে,ব্রণ ভালো করতে,রক্ত পরিস্কার করতে,চুলের খুশকি দূর করতে ইত্যাদি। তাই দৈনন্দিন জীবনে নিম পাতার গুরুত্ব অপরিসীম।

পোস্ট সূচিপত্রঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক। নিম গাছকে সাধারণত ভাবে মানুষের রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এই গাছটি মানুষ সাধারণত ঔষধি গাছ হিসেবে চিনে থাকে। প্রাচীনকালে এই গাছ ব্যবহার করে মানুষ ঘরোয়া অনেক রোগের চিকিৎসা করে থাকতেন। নিম গাছের পাতা, ডাল  ব্যবহার করে শরীরের জীবাণু ধ্বংস করার  ঔষধ বানানো যায়। 

আরো পড়ুনঃ কালোজিরা ও মধু খাওয়ার উপকারিতা

এছাড়া নিম পাতা ব্যবহার করে শরীরের বিভিন্ন টক্সিন অপসারণ করে ত্বক ও শরীরকে সুস্থ রাখা যায় এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখা যায়। এই পাতার রস খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও চর্মরোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় হজম শক্তির উন্নয়ন ঘটায়, রক্ত পরিষ্কার রাখে, চুল ও মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে এই নিম পাতা।

এছাড়া নিম পাতার কিছু অপকারিতা ও আছে। যেমন গর্ভাবস্থায় নিমপাতা খাওয়ার ফলে শুক্রানুর কোষ নষ্ট হয়ে যায়। এতে গর্ভবতীর ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও শিশুদের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে। এবং তাদের শারীরিক অবস্থাকে ঝুঁকিতে ফেলায়। তাই এ থেকে বলা যায় যে নিমপাতা যেমন উপকারিতা আছে তেমনি কিছুটা অপকারিতা আছে।

নিম পাতার উপকারিতা

দাঁতের রোগ সারাতেঃ আপনারা যদি দীর্ঘদিন ধরে দাঁতের সমস্যায় ভুগেন তবে নিম পাতা শুকিয়ে তেলের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন দুবেলা দাঁতের ক্ষত স্থানে লাগান এতে দাঁতের যন্ত্রনা থেকে আপনারা মুক্তি পাবেন। এছাড়াও যদি আপনারা প্রতিদিন নিম পাতার রস দিয়ে কুলকুলা করেন তাহলে মাড়ি ফোলা সহ দাঁতের ব্যথা দূর হয়ে যাবে এবং আপনাদের দাঁত মজবুত হবে।

চুলের খুশকি দূর করতেঃ যদি চুলে খুশকি হয় তাহলে আমরা নিম পাতা ব্যবহার করে তা সহজেই দূর করতে পারি। প্রথমে নিম পাতা ভালো ভাবে বেটে নিতে হবে। তারপর নিম পাতার রস মাথায় ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।  কিছুক্ষন পর মাথা শ্যাম্প দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এইভাবে  কয়েক দিন করলে খূশকি দূর হয়ে যাবে।

চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহারঃ অনেক সময় আমাদের দেহে চুলকানি হয়, এটি নিম পাতা ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা খুব সহজে ভালো করতে পারি। নিম পাতার শুকনো গুড়া সরিষা বা নারিকেলের তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে খুব তারাতারি চুলকানি ভালো হয়ে যাবে।

ওজন কমাতে নিমপাতার ব্যবহারঃ যদি আপনারা পেটের চর্বি কমাতে চান তাহলে নিমের পাতা ও নিমের ফুল দিয়ে জুস বানিয়ে নিয়মিত পান করুন তাহলে পেটের চর্বি দূর হয়ে যাবে।

ভাইরাস দূর করতেঃ আমাদের না জানতে  অনেক ভাইরাস আছে যারা আমাদের দেহের অনেক ক্ষতি করে, তাই এই সব ভাইরাস থেকে বাচতে আমরা নিম পাতা ব্যবহার করতে পারি। নিম পাতা পানির সাথে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে গোসল করলে খুব সহজেই ভাইরাস গুলি দূর হয়ে যাবে। ফলে আমাদের দেহ সুস্থ থাকবে।

 এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহারঃ এলার্জি জনিত কোনো সমস্যা দেখা দিলে নিম পাতা পানির সাথে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে গোসল করলে এলার্জি ভালো হয়ে যায়। তাছাড়াও কাঁচা হলুদের সাথে নিম পাতা মিশিয়ে এলার্জি এর স্থানে লাগালে এলার্জি ভালো হয়ে যায়।

রক্ত পরিষ্কারে নিম পাতার ব্যবহারঃ নিম পাতার রস নিয়মিত পান করলে রক্ত নালী পরিষ্কার থাকে। ফলে রক্ত চলাচল ভালো হয় এবং রক্ত চাপ নিয়ন্তনে থাকে।

ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহারঃ যদি আপনি ব্রণের  যন্ত্রনায় ভুগতে থাকেন তবে আপনি গুড়ো নিম পাতার সাথে গরম পানি মিশিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে নিন এতে আপনার ব্রণের যন্ত্রনা কমে যাবে এবং ব্রণ ভালো হয়ে যাবে। এই ভাবে প্রতিদিন করলে আপনার ব্রণ ভালো হয়ে যাবে।

নিম-পাতার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

কৃমি নাশক হিসাবে নিম পাতার ব্যবহারঃ বাচ্চাদের অনেক সময় কৃমিতে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এতে বাচ্চাদের পেট বড় হয় এবং বাচ্চারা রোগা হয়ে যায়। এই কৃমি থেকে মুক্তি পেতে নিম পাতার রস হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে বাচ্চাদের খাওয়াতে হবে। তবেই কৃমির যন্ত্রনা থেকে বাচ্চারা মুক্তি পাবে।

হজমের সহায়তায় নিম পাতার ব্যবহারঃ আমাদের অনেক সময় বদহজম ,বুক জ্বালা এই সমস্যা গুলি দেখা দেয়। এ থেকে মুক্তির জন্য নিম পাতার গুরুত্ব অপরিসীম। নিয়মিত নিম পাতার রস খেলে বদহজম , বুক জ্বালা এই সমস্যা গুলি দূর হয়ে যাবে।

কোলেস্টেরল কমাতে নিম পাতার ব্যবহারঃ নিম পাতার ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করা যায়। নিম পাতার রস বা পানিতে ফুটিয়ে নিম পাতার জল পান করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যাবে।

ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে নিম পাতার ব্যবহারঃ রক্তের শর্করার পরিমাণ হ্রাস করতে নিম পাতার গুরুত্ব অপরিসীম। নিম পাতার রস নিয়মিত পান করলে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রনে থাকবে।

উকুন কমাতে নিম পাতার ব্যবহারঃ উকুন সকল মানুষের একটি ভয়ের কারণ। এই উকুন থেকে মুক্তি পেতে আমাদের নিম পাতা বেটে মাথায় লাগাতে হবে। এই ভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে উকুন দূর হয়ে যাবে। 

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ নিম পাতার সাথে চন্দন মিশিয়ে  এর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট করে তা মুখ মন্ডলে ভালো ভাবে লাগিয়ে রাখুন। এরপর তা শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে নিন। এরপর আপনার পছন্দ মতো একটি অ্যালোভেরার জেল মুখে লাগিয়ে নিন তাহলেই আপনার ত্বক মলিন থাকবে।

আরো পড়ুনঃ লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ছাড়পোকা তাড়াতে নিম পাতার ব্যবহারঃ ছাড়পোকা ঘড়ের যে কোন প্রান্তে বংশ নিস্তার করে। ছাড়পোকা আকারে ছোট হয়। ছাড়পোকা তাড়ানোর জন্য নিম পাতার গুরুত্ব অপরিসীম। ঘড়ের যেখানে ছাড়পোকা রয়েছে সেখানে তাজা নিম পাতা বিছিয়ে দিন। এইভাবে কয়েকদিন করুন। প্রত্যেক দিন নতুন নতুন পাতা দিন। এতে ছাড়পোকা দূর হয়ে যাবে। এতেও যদি দূর না হই তবে নিম পাতার সাথে ন্যাপথালিন মিশিয়ে বিছিয়ে দিন। এতে আশা করা যাই ছাড়পোকা দূর হবে।

নিম পাতার অপকারিতা

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণঃ গর্ভবস্থায় এবং স্তন্যদানের সময় মহিলাদের নিম পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এতে ভ্রুণ বা শিশুর ক্ষতি হতে পারে এবং গর্ভপাত হতে পারে। তাই মহিলাদের এই সময় নিম পাতা না খাওয়াই ভালো।

এলার্জিঃ নিম পাতার কিছু উপাদান আছে যার ফলে অনেকের এলার্জি সৃষ্টি হতে পারে। তাই যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের নিম পাতা খাওয়া থাকে বিরত থাকা উচিত।

বমি বমি ভাব,বমি এবং পেট ব্যথাঃ নিম পাতা সেবনের ফলে অনেকের বমি বমি ভাব, বমি, পেটে ব্যথা হতে পারে। এর ফলে কিছু দিন নিম পাতা খাওয়া থেকে বিরত উচিত।

ত্বক ও চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার

নিমের পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা সাধারণত স্ক্যাল্পের টক্সিন বের করে দেয়। এছাড়া ফ্রি রেডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে। এতে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্র কমে যায়। ফলে চুলের নানা সমস্যা দূর হয়ে যায়। এছাড়াও নিম পাতায় আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল নামক উপাদান। এটি স্ক্যাল্পকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে রক্ষা করে।

নেমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং থাকে। এই দুটি উপাদান চুলের জন্য খুব উপকারী। কেননা চুলের প্রাকৃতিক জেল্লা বাড়াতে এবং হিয়ার ফল কমাতে এ দুটি ভিটামিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও হেয়ার প্যাক বানানোর জন্য নিম পাতা ব্যবহার অনেক। হেয়ার প্যাক বানানোর জন্য নিমপাতা, টক দই এবং এলোভেরা জেল লাগে। 

হেয়ার প্যাক বানানোর নিয়ম - এবার একটি ব্লেন্ডার নিয়ে সেখানে এক কাপ নিম পাতা নিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর এই পেস্টটির মধ্যে টক দই এবং এলোভেরা জেল যোগ করুন তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার হেয়ার প্যাক। একটি চুলে ব্যবহার করার জন্য প্রথম আপনাকে চুলকে কয়েকবার ভাগ করে নিতে হবে। 

এরপর চুলে ভালো করে লাগাতে হবে, তারপর এক ঘন্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এইভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করার ফলে আপনার চুল সুন্দর ও মসৃণ  থাকবে। তাই চুল ও ত্বকের যত্নে আপনি নিয়মিত নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন। চুলের যত্নে নিম পাতা অনেক উপযোগী।

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে যা হয়

নিমপাতাতে উপস্থিত বিভিন্ন গুনাগুন গুলি এসিডিটি দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া নিমপাতা জলে সিদ্ধ করে সকালে খালি পেটে পান করলে এসিডিটি ও পেটের ব্যথা দূর হয়ে যায়। নিম পাতায় রয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় বাড়ায় না এটি সর্দি ও কাশির মতো রোগ  নিরাময়ে সাহায্যে করে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা করতেও নিমপাতা অনেক উপকারী। নিম পাতা খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা গুলি দূর হয়ে যায়। নিমপাতা ব্লাড সুগারের রোগীদের জন্য উপকারী, কেননা এটি তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

খালি পেটে নিম পাতা খেলে লিভার ভালো থাকে। খালি পেটে নিমপাতা পাতা খাওয়ার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই শারীরিক সুস্থতার জন্য খালি পেটে নিম খাওয়ার উপকারিতা অনেক। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত খালি পেটে নিম পাতা খাওয়া খুবই জরুরী।

গরমে নিম পাতার পানিতে গোসলের উপকারিতা

গরমের সময় আমাদের শরীর জ্বালাপোড়া করে। এই সময় নিম পাতার পানি গরম করে গোসল করলে জ্বালাপোড়া থেকে আরাম পাওয়া যায়। গরমে নিম পাতার পানিতে গোসলের উপকারিতা গুলি নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

এলার্জিঃ সাধারণত গরমের দিনে এলার্জি সমস্যা বেড়ে যায়। শরীরের চুলকানি গুলো থেকে আরাম পেতে নিমের ফোটানো পানিতে গোসল করে নিলে মাইক্রোবিয়াল উপাদান যে কোন সংক্রমণ ব্যাধি ও ত্বকের সমস্যা দূর করে দেই।

ঘামের গন্ধঃ গরমের সময় আমাদের শরীর ঘেমে যায় ফলে আমাদের শরীর থেকে ঘামের গন্ধ বাড়ায়। এ থেকে মুক্তি পেতে নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন। নিম পাতার পানি গরম করে তা দিয়ে গোসল করলে খুব সহজেই ঘামের গন্ধ দূর হয়ে যায়।

দাগ ছোপঃ সাধারণত ভাবে গরমের দিনে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। রোদের তাপে ত্বক পুড়ে কালো হয়ে যায়। এতে বিভিন্ন দাগ দেখা দেয়। এ থেকে মুক্তি পেতে নিম পাতার পানি গরম করে গোসল করে নিতে পারেন।

খুশকিঃ খুশকি দূর করতে নিম পাতা খুবই কার্যকরী। খুশকি দূর করতে কাঁচা নিমপাতা হাতে চিপে তার রস মাথায় লাগাতে পারেন। এছাড়াও চুলের গোড়ায় যে ধুলোবালি পরে তার দূর করতেও উপযোগী এই নিম পাতা।

নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম

নিম পাতার রস নিয়মিত পান করা ভালো। ভালো ফল পেতে ডিমের নিমের পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়া ভালো। খালি বিটি পাঁচটি গোলমরিচ ও দশটি নিম পাতা বেটে খেলে তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিম চিনি বা চিনির মিছরির সঙ্গে খেলে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া নিম পাতার গুঁড়া খেতে পারেন।

নিম-পাতার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

এছাড়াও নিম পাতা এক চা চামচের অর্ধেক এক গ্লাস ঠান্ডা পানিতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে এর থেকে দুইবার খালি পেটে খেতে পারেন। এতে অনেক রোগ নিরাময় হয়ে যায়। মুখের সমস্যা দূর করতে নিম পাতার গুড়ো নিয়ে এতে কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল যোগ করে মুখে ভালোভাবে লাগাতে হবে। এবং কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

আরো পড়ুনঃ কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা

লেখকের শেষ কথাঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা,শান্তি আইটির এই পোস্টে আপনাদের সাথে নিম পাতার উপকারিতা এবং নিম পাতার অপকারিতা সম্পর্কে আলচনা করেছি। নিম পাতার অপকারিতার চেয়ে উপকারিতায় বেশি। তাই আপনি যদি সর্বদা সুস্থ থাকতে চান, তাহলে অবশ্যই নিয়মিত নিম পাতা সেবন করার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে ,আপনার শরীর জীবাণু মুক্ত থাকবে এবং শরীর সর্বদা শক্তিশালী হবে।

তাই বিভিন্ন রোগ দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার অনেক জরুরী। যদি আপনি শরীরকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে নিয়মিত নিম পাতার সেবন করতে পারেন। আশা করি আপনারা এই নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়টি এই পোস্টটি থেকে জানতে পেরেছেন। এবং আমি আরো আশা করি যে আপনারা এই থেকে অনেক উপকৃত হয়েছেন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শান্তি আইটিতে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url