কালোজিরা ও মধু খাওয়ার উপকারিতা

কালোজিরা ও মধু খাওয়ার উপকারিতা এতো বেশি যে আমরা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। কারণ এরা উভয়ে প্রাকৃতিক মহৌষধ নামে পরিচিত। যেকোনো ধরনের রোগের সমস্যা দূর করতে কালোজিরা ও মধু পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে।
কালোজিরা-ও-মধু -খাওয়ার-উপকারিতা
তাই আপনি যদি শারিরীক ভাবে সুস্থ থাকতে চান তাহলে কালোজিরা ও মধু নিয়মিত খেতে পারেন। এতে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। তাহলে চলেন এবার কালোজিরা ও মধু খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিই।

সূচিপত্রঃ কালোজিরা ও মধু খাওয়ার উপকারিতা

কালোজিরা ও মধু খাওয়ার উপকারিতা

কালোজিরা ও মধু খাওয়া উপকারিতা অনেক। হাদিসে এসেছে রাসূল (সাঃ) বলেছেন তোমরা কালোজিরার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ করো। কেননা তাতেই মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের নিরাময় রয়েছে।  যেমন নিন্দাহীনতায় কালোজিরার ব্যবহার-মধু মেশানো এ ক্লাস গরম দুধের সাথে এক চা চামচ কালোজিরা মিশিয়ে ঘুমের বেশি পান করলে নিন্দা দূর হয়ে প্রচুর ঘুম হবে।

পরিমাণ মতো কালোজিরার চূর্ণ এবং তার সাথে অর্ধেক পরিমাণ গরম লবঙ্গ এবং অর্ধেক পরিমাণ মৌরিফল একসাথে মিশিয়ে মাথা ব্যথার সময় ননিযুক্ত দুধের সাথে সেবন করলে মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যায়। যৌবন ধরে রাখতে ও লাবণ্যের জন্য কমল কালোজির পাতা সিরকা এবং এক চা চামচ পরিমাণ গমের গুড়া মিশিয়ে নিয়ে এই মিশ্রণ সন্ধ্যা বেলায় মুখ মন্ডলে মালিশ করতে হবে এবং সকালে গরম পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এইভাবে এক সপ্তাহ ব্যবহার করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

মধু যা মানুষের জন্য রোগের প্রতিকার। মধুতে ক্যালরি থাকায় মধু খাওয়ার পরে শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এ প্রোটিন দেহের গঠন বৃদ্ধিসাধন এবং ক্ষয় পূরণে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে। এছাড়া মধুর মধ্যে থাকা ল্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস এর শরীরে হাড় গঠনে সাহায্য করে। মধুর ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম হৃৎপিণ্ডকে সচল রাখতে সাহায্য করে এবং পাকস্থলী বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের সাহায্য করে।

রোগ সারাতে মধু এর ব্যবহার অনেক। এছাড়াও শরীরের কোথাও পুড়ে গেলে সামান্য মধু ও মেহেদির পাতা একসঙ্গে বেটে ওই পোড়া জায়গায় লাগালে পুড়া চলিত জ্বালা ও কষ্ট দূর হয়ে যায়। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের চিকিৎসায় মধু অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রূপচর্চা করার ক্ষেত্রে মধুর ব্যবহার আছে এবং দাঁতের ব্যথা দূর করাতেও এর ব্যবহার হয়।

তাই মধু ও কালোজিরার উপকারিতা অপরিসীম। মধু ও কালোজিরা আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। সকল প্রকারের রোগ থেকে মুক্তি পেতে মধু ও কালোজিরা আমাদের প্রয়োজন। তাই কালোজিরা ও মধুর উপকারিতা গুনে শেষ করা যাবে না।

সকালে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চিমটি পরিমাণ 1 থেকে 2.50 গ্রাম কালোজিরা খেলে শরীরের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সকালে কালোজিরা গরম ভাতের সাথে বা রং চায়ের সাথে মিশিয়ে খেলে নারী পুরুষ উভয়েরই যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও যৌন সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। এছাড়াও কালোজিরা নিয়ে এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খেলেও রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে।

কালোজিরা সরাসরি তেল হিসেবে বা কাঁচা চিবিয়ে অথবা ভেজেও খাওয়া যায়। যখনই গরম পানি বা চা পান করা হয় তখন কালোজিরা মিশিয়ে খাওয়া খুবই ভালো। এছাড়াও গরম ভাত খাওয়ার সময় কালোজিরা খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। তাই সরাসরি কালোজিরা না খেয়ে ভাত রুটি বা মুড়ির সাথে কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

মধু খাওয়ার নিয়ম

মধু এমন একটি উপাদান যা খাওয়াতে কোন ধরনের অপকারিতাও নেই এবং ক্ষতিও নেই। তবে একসাথে বেশি মধু খাবেন না এতে সমস্যা হতে পারে। কারণ মধুতে অনেক পরিমান ক্যালরি থাকে তাই মধু খাওয়ার পর শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই বেশি মধু খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। যখন মধু খাবেন তখন এক থেকে দুই চা চামচ খাবেন এতে ভালো কাজ করবে। 

তবে সকালে ও রাতে খাওয়া বেশি ভালো। মধু আপনি প্রতিদিন এক থেকে দুই চা চামচ খাবেন। এতে আপনার ভালো উপকারে আসবে। এর চেয়ে বেশি খেলে হয়তো ক্ষতি ছাগল হতে পারে। কারণ আগেই বলা হয়েছে যে মধু খাওয়ার হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তার অতিরিক্ত মধু খাওয়ার ফলে হয়তো শরীরের তাপমাত্রাতে এত পরিমাণ বেড়ে যাবে। এতে আপনার ক্ষতি হতে পারে। তাই পরিমাণ মতো মধু খাওয়া উচিত।

মধু খাওয়ার উপকারিতা

যৌনশক্তি বৃদ্ধিতেঃ  দৈহিক শক্তি ও যৌনশক্তি বাড়ানোর জন্য মধুর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিদিন গরম দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পাবে। এছারাও প্রতিদিন কালোজিরা মধু দিয়ে চিবিয়ে খেলে অথবা দুই চা চামচ আদা মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পাবে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ রাখতে দুই চা চামচ মধুর সাথে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ও বিকালে পান করলে রক্তচাপ স্বভাবিক থাকে।তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত মধু পান করুন।

পোড়া স্থানেঃ শরীরের কোথাও পুড়ে গেলে মেহেদী পাতার সাথে মধু বেটে পোড়া স্থানে লাগালে পোড়াজলিত জ্বলা কমে যায়। এছাড়াও যেকোন ক্ষত স্থানে লাগালে জ্বলা কমে যাবে।

কোষ্ঠ কাঠিন্যঃ এক গ্লাস হালকা গরম পানির সাথে এক চা চামচ লেবুর রস ,এক চা চামচ আদার রস এবং দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে অজীর্ণ ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ ভাল হয়ে যাবে।

দাঁতের ব্যথায়ঃ দাঁতের কোথাও ব্যথা অনুভব হলে তুলার সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে ব্যথার স্থানে দিনে দু'তিনবার লাগালে ব্যথা কমে যাবে। তাই দাঁতের যেকোনো ব্যথা নিরাময়ে মধু ভালো কাজ করে।

আরো পড়ুনঃ রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায়

কাশি হলেঃ কাশি হলে আদা ও তুলসীর রসের সাথে মধু মিশিয়ে দিনে তিন-চার খেলে কাশি ভালো হয়ে যায়। তাই কাশি থেকে বাচতে আদার ও তুলসীর সাথে মধু নিয়মিত খান এতে কাশি ভাল হয়ে যাবে।

রূপচর্চায়ঃ রূপচর্চায় মধুর গুরুত্ব অপরিসীম। মুখে কোনো কালো দাগ, ব্রণ দূর করতে মধু লাগালে এগুলি দূর হয়ে যায়।হলুদের সাথে মধু মিশিয়ে মুখে লাগালে মুখ মসৃণ ও পরিষ্কার হয়।

ক্লান্তি দূর করতেঃ ক্লান্তি দূর করতে ঠান্ড পানির সাথে লেবুর ও মধু মিশিয়ে পান করুন এতে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে এবং শরীরে সবলতা ফিরে আসবে। 

কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা

স্বরণশক্তি বৃদ্ধিতেঃ স্বরণশক্তি বৃদ্ধি করতে এক চা চামচ কালজিরার সাথে এক চা চামচ কমলার রস মিশিয়ে দিনে তিনবার করে খান এতে ভালো ফল পাবেন। এভাবে নিয়মিত খান এতে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাবে। তাছাড়া কালোজিরাতে আছে অ্যান্টিসেপটিক যা মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বরণশক্তি বাড়িয়ে দেই।

এলার্জি দূর করতেঃ এলার্জি দূর করতে কালোজিরা ভালো কাজ করে। কালোজিরার সাথে পেয়ারা পাতার রস মিশিয়ে খেলে এলার্জি দূর হয়ে যায়।

কালোজিরা-ও-মধু -খাওয়ার-উপকারিতা

হজমের সমস্যা দূর করতেঃ প্রায় মানুষের হজমের সমস্যা দেখা যায়। আর এই হজমের সমস্যা কালোজিরা খাওয়ার মাধ্যমে দূর করা যায়। দুই চা চামচ কালোজিরা বেটে পানির সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিন খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এতে হজম শক্তিও বৃদ্ধি পাবে।

মাথার ব্যথা নিরাময়েঃ আমাদের অনেক সময় হঠাৎ করে মাথা ব্যথা উঠে। এ থেকে মুক্তি পেতে এক থেকে দুই চা চামচ কালোজিরার তেল মাথায় ভালো করে মালিশ করতে হবে এবং এক চা চামচ কালোজিরার তেল এক চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে দৈহিক তিনবার খেতে হবে। এইভাবে কয়েক সপ্তাহ খেলে মাথা ব্যথা দূর হয়ে যাবে।

চুল পড়া বন্ধ করতেঃ আমাদের অনেক সময় চুল পড়ে যায়, এইচুল পড়া বন্ধ করতে নিয়মিত কালোজিরা খেতে হবে । এবং এর পাশাপাশি মাথায় কালোজিরার তেল দিতে হবে এতে চুলের গোড়া মজবুত হবে। ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

সর্দি-কাশি দূর করতেঃ সর্দি-কাশি দূর করতে কালজিরা খুব ভালো কাজ করে। এক চা চামচ কালোজিরার সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন দু'তিনবার খেলে সর্দি-কাশি দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও এক চা চামচ কালোজিরার সাথে  তিন চা চামচ মধু ও দুই চা চামচ তুলসী রস মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি দূর হয়ে যায়। অন্যদিকে এক থেকে দুই চা চামচ কালোজিরা একটি শুকনো কাপড়ে নিয়ে হাত দিয়ে ভালোভাবে মসলিয়ে নাকের কাছে নিয়ে জোরে জোরে  নাক দিয়ে তার ঘ্রান নিতে হবে তাহলে সর্দি দূর হয়ে যাবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষ্মতা বৃদ্ধিতেঃ আমাদের অনেক সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কালোজিরা চমৎকার ভাবে কাজ করে। কালোজিরা নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে, এতে শরীরের দুর্বলতা দূর হয়ে যাবে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত কালোজিরা খান।

বাতের ব্যথা দূর করতেঃ যেখানে বাতের ব্যথা হয় সেখনে কালোজিরার তেল ভালোভাবে মালিশ করলে বাতের ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়। কালজিরার তেল এক চামচ হলুদের রসের সাথে বা মধুর সাথে মিশিয়ে প্রত্যক দিন তিন বার খেলে বাতের ব্যথা দূর হয়ে যাবে। 

হার্টের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতেঃ যারা হার্টের সমস্যা ভুগতেছে তাদের জন্য কালোজিরার তেল খাওয়া অতি জরুলি। কারণ কালোজিরার তেল সেবনের মাধ্যমে হার্টের রোগ ভালো হয়ে যায়। এক চা চামচ কালোজিরার ও এক কাপ দুধ নিয়মিত দুইবার পান করলে হার্টের রোগ ভালো হয়ে যায়। এছাড়াও কালোজিরার তেল প্রতিদিন বুকে মালিশ করলে হার্টের সমস্যা দূর হয়ে যায়। তাই হার্টের সমস্যা থেকে বাচতে প্রতিদিন কালোজিরা খান এতে আপনার হার্ট ভাল থাকবে।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রন করতেঃ ব্লাড প্রেসার একটি ভয়ের কারণ এ থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন কালজিরা খান এতে আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে থাকবে। এক চা চামচ কালোজিরার তেল ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন একবার করে খান এতে আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে থাকবে। তাছাড়া নিয়মিত কালোজিরার তেল খেলে রক্তের শর্করা কমে যায়, এতে আপনার নিম্ন রক্ত চাপ বৃদ্ধি পাবে এবং উচ্চ রক্ত চাপ হ্রাস পাবে ফলে আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে থাকবে।

শ্বাসকষ্ট হতে মুক্তি পেতেঃ যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তারা নিয়মিত কালোজিরার তেল খান এতে আপনার শ্বসকষ্ট কমে যাবে।আপনার শ্বাসকষ্ট দূর করতে আপনি নিয়মিত কালোজিরার ভর্তা খেতে পারেন। এছাড়াও শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইলে আপনি প্রতিদিন এক কাপ দুধের সাথে কালোজিরার তেল মিশ করে খান এতে আপনার শ্বাসকষ্ট দূর হয়ে যাবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ কালোজিরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুব ভালো ভূমিকা পালন করে থাকে। সামান্য কালোজিরা এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও  এক কাপ কালোজিরার তেল এক কাপ রং চা এর সাথে মিশিয়ে খেলে এবং নিয়মিত হাটাহাটি করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

যৌনশক্তি বৃদ্ধিতেঃ  যৌনশক্তি বৃদ্ধি করতে কালোজিরা খুবি উপকারি। এই কালোজিরা পুরুষ মহিলা উভয়ের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এক চা চামচ মাখন, এক চা চামচ জাইতুনের তেলের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল ও মধু প্রতিদিন তিনবার করে পাঁচ সপ্তাহ খেলে যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই যৌনশক্তি বৃদ্ধি করতে কালোজিরা খান।

অনিয়মিত মাশিক সারাতেঃ মাশিক মহিলাদের একটি কোমন সমস্যা। অধিকাংশ মহিলাদের এই সমস্যা দেখা যায়। এ থেকে মুক্তি পেতে কালোজিরা খুবি উপকারি। এক কাপ কাঁচা হলুদের রস বা এক কাপ আতোপ চাল ধোয়া পানির সাথে এক চা চামচ কালোজিরা মিশিয়ে দিনে তিন বার নিয়মিত খেলে অনিয়মিত মাশিক দূর হয়ে যায়।

মায়ের দুধ বৃদ্ধিতেঃ অনেক মায়ের বুকের দুধ কমে বা শুকিয়ে যায়। এ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত কালোজিরার ভর্তা খেতে হবে। এছাড়াও প্রতিদিন ঘুমানোর আগে  ৬-১০ গ্রাম কালোজিরা দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে দুধ বৃদ্ধি পাবে।

পিঠের ব্যথা নিরাময়েঃ যদি পিঠে ব্যথা অনুভব হয় তবে কালোজিরার তেল ব্যবহার করুন তাহলে ব্যথা কমে যাবে।

গ্যাস্ট্রিক নিরাময়েঃ গ্যাস্ট্রিক নিরাময়ে কালোজিরা খুব ভালো কাজ করে। গ্যাস্ট্রিক দূর করতে এক চা চামচ কালোজিরার তেল এক চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে দিনে তিনবার করে নিয়মিত খেন এতে গ্যাস্ট্রিক দূর হয়ে যাবে।

শিশুর দৈহিক অমানসিক বৃদ্ধিতেঃ কালোজিরা বাচ্চাদের নিয়মিত খাওয়ালে দেহ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। শিশুদের নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ালে মানসিকতা বৃদ্ধি পায়, মস্তিষ্ক সুস্থ থকে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

লিভারের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতেঃ লিভারের সমস্যা একটি মারাত্মক সমস্যা। এর ফলে ক্যান্সার হয়, এর ফলে মৃত্যু ঘটতে পারে। এ থেকে বাঁচতে নিয়মিত কালোজিরা খেতে হবে। কারণ আফলা টক্সিন নামক একধরনের রাসায়নিক বিষের জন্যে ক্যান্সার হয়, আর এই বিষ কালোজিরা খেলে ধ্বংস হয়ে যায়। তাই লিভারের সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত কালোজিরা খাওয়া উচিৎ।

 সকালে খালি পেটে কালোজিরা ও মধু খাওয়ার উপকারিতা

সকালে খালি পেটে কালোজিরা ও মধু খাওয়ার উপকারিতা অনেক। নিয়মিত খালি পেটে কালোজিরা ও মধু খেলে দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো হয়। এতে করে মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি ঘটে যা আমাদের স্মৃতি শক্তিকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজলিত সমস্যা দূর করতেও কালোজিরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কালোজিরা-ও-মধু -খাওয়ার-উপকারিতা

প্রতিদিন কালোজিরা ভর্তা খেলে হাঁপা নিয়ে বা স্বাস্থ্য যদি সমস্যা দূর হয়। তাহলে সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার ফলে কি কি উপকার পাওয়া যায় তা তালিকের মাধ্যমে নিচে যা হল-

  • হৃদরোগের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে
  • ডায়বেটিসনিয়ন্ত্রণে র সাহায্য করে
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
  • ক্যান্সার প্রতিরোধের সাহায্য করে
  • মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে 
  • শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা সমাধানের সাহায্য করে
  • চুল ও ত্বকের যত্নেসহায়তা করে

আরো পড়ুনঃ কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা

লেখকের শেষ কথাঃ কালোজিরা ও মধু খোওয়ার উপকারিতা

কালোজিরা ও মধুর উপকারিতা এতো যে বলে শেষ করা যাবেনা। তাই আমার মতে সকল প্রকারে রোগ বালা থেকে নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত কালোজিরা ও মধু খাওয়া উচিৎ। এতে সকল ধরনের রোগ থেকে আমরা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে পারব। তাই সকলে নিয়মিত কালোজিরা ও মধু খাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শান্তি আইটিতে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url