কিভাবে নিজের লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করবেন
লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করা প্রত্যক মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিভাবে নিজের লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করবেন তা জানতে হলে অবশ্যই লাইফ স্টাইল পরিবর্তনের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জানতে হবে।
আপনি যদি লাইফ স্টাইল পরিবর্তনের সঠিক নিয়ম -নীতি সম্পূর্ণ রূপে আপনার জীবনে প্রয়োগ করতে পারেন তবেই আপনি আপনার জীবনকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করতে পারবে। চলেন তাহলে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করার বিষয় গুলি সম্পর্কে জেনে নিই।
পেজ সূচিপত্রঃকিভাবে নিজের লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে হয়
কিভাবে নিজের লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে হয়
লাইফ স্টাইল পরিবর্তনের কলা-কৌশল
চার মাসের মধ্যে কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করবেন
লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে কি কি খাবার খাবেন
নিজেকে পরিবর্তন করার আরো কিছু মাধ্যম
রমজান মাসে লাইভস্টাইলের খুঁটিনাটি
লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে সহকর্মীদের সাথে কেমন সম্পর্ক হওয়া উচিত?
কিভাবে নিজের লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে হয়
বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে কিভাবে নিজের লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করবেন তা নিয়ে আলচনা করব। আপনি যদি আপনার জীবনযাপনে ক্ষেত্রে পরিবর্তন করতে চান। তবে আপনাকে একটি রুটিন বানিয়ে নিতে হবে। রুটিন ছাড়া আপনি কখনও আপনার জীবন পরিবর্তন করতে পারবেন না। তাই আপনাকে প্রথমে একটি রুটিন বানিয়ে নিতে হবে।
এই রুটিন কেমন হবে এটি আলোচ্য বিষয় নয়, এটি যেকোনো রকম হতে পারে। তারপর আপনাকে ছোট ছোট কাজ শুরু করতে হবে। কেননা মানুষ একবারেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে পারে না। তাই উপরে উঠতে হলে অবশ্যই ছোট ছোট কাজ দ্বারা শুরু করতে হবে। উদাহরনস্বরূপ ধরেন একজন বই পড়তে চায়। তাই শুরুতে সে একদিনে ১০ মিনিট করে ৩ বার বই পড়ে।
এতে সে দিনে ৩০ মিনিট বই পড়ে ফেলেছে। এতে দেখা যায় সে সপ্তাহে ২১০ মিনিট বই পড়ে ফেলেছে। এইভাবে সে এক সপ্তাহ পর আরো ৫ মিনিট বাড়িয়ে দিয়ে ১৫ মিনিট করে দিনে ৩ বার পড়লে দেখা যাবে এক সপ্তাহে সে ৩১৫ মিনিট বই পড়ে ফেলবে। এইভাবে ছোট ছোট কাজ থেকে নিজেকে উন্নত করতে হয়।
নিজেকে পরিবর্তন করতে চাইলে কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে। আর এর জন্য লাগবে আপনার শারীরিক সুস্থতা। এর জন্য প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। এতে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয় যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখে। তাই প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিত হাটুন। এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।
তাছাড়া দেখা যাই যে আগের মানুষেরা বেশি কাজ করতেন এতে তারা বেশি সুস্থ থাকত, কিন্তু এখন কার মানুষেরা কম পরিশ্রম করাই তারা শারীরিক ভাবে আগের মানুষের তুলনাই কম সুস্থ। তাই নিজের কাজ নিজে করতে শিখেন এবং নিজেই করেন। তাহলে আপনার লাইফ স্টাইল দ্রুত পরিবর্তন হবে।
এছাড়াও নিজেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, মেসেঞ্জার ইত্যাদিতে সময় দেওয়া কমিয়ে দিতে হবে। কেননা আপনি দিনে যে পরিমান সময় এই বিষয় গুলিতে ব্যয় করেন তা পড়া-লেখাই দিলে আপনার জীবনের অনেক উন্নতি হবে। এই সব ফলো করলেই আপনি জীবনে পরিবর্তন আনতে পারবেন।
লাইফ স্টাইল পরিবর্তনের কলা-কৌশল
লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে চাইলে আপনি নিচের কলা-কৌশল গুলি অনুসরণ করুন।
১। একটি লক্ষ্য স্থির করতে নিতে হবে।
২। অতঃপর একটি সুন্দর রুটিন বানিয়ে নিতে হবে।
৩। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়ে তু্লতে হবে।
৮। অযথা সময় নষ্ট করা থেকে বিরত থেকতে হবে।
৯। সময়ের কাজ সময় মত করতে হবে।
১০। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
১১। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় অপচয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
১২। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে সময় অপচয় থেকে বিরত থাকতে হবে।
১৩। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া।
১৪। রাতে তারাতারি ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
১৫।নিয়মিত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
১৬। সকালে তারাতারি ঘুম থেকে উঠতে হবে।
১৭। নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
১৮। বই পড়ার সময় সর্বদা মনোযোগ পড়ার দিকে রাখতে হবে।
এই নিয়ম অনুসরণ করলে আশা করি আপনার লাইফ স্টাইল দ্রুত পরিবর্তন হবে।
আরো পোরুনঃ কালোজিরা ও মধু খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
চার মাসের মধ্যে কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করবেন
হুট করে কখন নিজেকে পরিবর্তন করা যাইনা। পরিবর্তন আসে ধীরে ধীরে। আপনি কি ঘুম থেকে উঠেই নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন, না। নিজেকে ইতিবাচক ভাবে পরিবর্তন করতে চাইলে নিজেকে সময় দিতে হবে। নিজেকে নিয়ে ভাবতে হবে। নিজেকে পরিবর্তন করতে চাইলে কাগজ-কলম নিয়ে বসতে হবে।
আপনাকে কাগজ-কলম নিয়ে বসে আপনার লক্ষ্য গুলি লিখে রাখে এমন জায়গায় রাখতে হবে যাতে আপনি প্রতিদিন দেখতে পান। ধরেন আপনি চার মাস খুব সকালে ঘুম থেকে উঠবেন। তাহলে আপনাকে এটি খাতাই লিখে এমন জায়গায় ঝুলাতে হবে যাতা আপনি প্রতিদিন দেখতে পান। এইভাবে কাগজ-কলম নিয়ে বসতে হবে তবেই নিজেকে পরিবর্তন করা যাবে।
আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে কি কি করবেন এটা ঠিক করে নিন। প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করুন । প্রতিদিন খবরের কাগজ পরুন। সকালে কিছু লেখা-লেখি করুন। নিয়মিত নিজের কাজ নিজে করুন। অলস ভাবে জীবন যাপন করা থেকে বিরত থাকুন। নিয়মিত বেশি বেশি বই পড়ার চেষ্টা করুন।
এছাড়াও নিজেকে পরিবর্তন করতে চাইলে একটি ইতিবাচক বন্ধু নির্ধারন করুন। কারণ একাএকা কোন কিছু পরিবর্তন করা অনেক কঠিন, তাই ইতিবাচক বন্ধু বের করুন। এবং নেতিবাচক বন্ধু ত্যাগ করুন। ইতিবাচক বন্ধুদের থেকে সহায়তা নিন। এভাবে বিভিন্ন জ্ঞান নিয়ে নিজেকে পরিবর্তন করুন।
এছাড়া আপনি যে কাজ করতে বেশি উৎসাহিত হন সেগুলোর প্রতি বেশি মনোযোগ দিন। আপনার পছন্দের কাজ নিয়ে বেশি চিন্তা-ভাবনা করুন। এবং নিজের কাজের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কাজের গুনগত মান উন্নয়ন করুন। এবং কোন পথ অনুসরন করলে আপনি নিজেকে ছাড়িয়ে যাবেন সেই দিক খেয়াল রাখতে হবে। এইভাবে আপনি নিজেকে পরিবর্তন করতে পারেন।
লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে কি কি খাবার খাবেন
লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে কি কি খাবার খাবেন তা নিয়ে আলোচনা করব। আপনার লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আর কঠোর পরিশ্রম করার জন্য আপনার শরীর সুস্থ থাক দরকার। তাই সুস্থ থাকতে আপনাকে পুষ্টি সম্পূর্ণ খাবার খেতে হবে। চলেন সুস্থ থাকার জন্য কিছু খাবার নিয়ে আলচনা করি।
আপন সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত যে খাবার খাবেন এগুলি হলো
১। আপনি প্রতিদিন সকালে কলা খেতে পারেন।
২। প্রতিদিন সকালে একটা পিঁয়ারা খেতে পারেন।
৩। প্রতিদিন ছোলা খেতে পারেন।
৪। প্রতিদিন কালজিরা খেতে পারেন।
৫। প্রতিদিন ডিম খতে পারেন।
৬। খেজুর খেতে পারেন।
৭। মধু খেতে পারেন।
৮। দুধ খেতে পারেন।
৯। কিসমিস খেতে পারেন।
১০। কাঠবাদাম খেতে পারেন।
এই গুলি খেলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এতে আপনি কঠোর পরিশ্রম করতে পারবেন। ফলে আপনার লাইফ স্টাইল দ্রুত পরিবর্তন হবে।
নিজেকে পরিবর্তন করার আরো কিছু মাধ্যম
আমরা সকলেই আমাদের লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে চাই। কিন্তু পরিবর্তন করতে পারছি
না। এর মূল কারণ হচ্ছে তোমার সাথে থাকা কিছু বকাটে বন্ধু। এছাড়াও আশেপাশের
মানুষের সমালোচনা। তোমাকে প্রথমে এইগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। এরপর কঠোর পরিশ্রম
করতে হবে। কারো কথায় কান দেওয়া যাবে না। প্রত্যেক কাজের প্রতি মনোযোগী হতে
হবে।
নিজেকে পরিবর্তন করতে চাইলে নিজের কাজ নিজে করার উপায় গড়ে তুলতে হবে। কারো উপর
নির্ভর হওয়া যাবে না। সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে হবে। কখনো সময়ের সময় না করে
ফিলে রাখা যাবে না। তারপর নিজেকে যে কাজটি করতে ভালো লাগে, সেই কাজগুলি মনোযোগ
সহকারে করতে হবে। যে কাজগুলি করবেন সেই কাজগুলি প্রতি যত্নশীল হতে হবে এবং সেই
কাজগুলি নিয়মিত সঠিক সময় করতে হবে।
আপনি নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন তখনই যখন নিজেকে নিজেই পরিবর্তন করবেন। নিজের
কাজের ধরন গুলোকে পরিবর্তন করবেন। কোন পদ্ধতিতে কাজ করলে কাজটি সহজ হবে সেই
পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া কখনো সময়কে অপেক্ষা করা যাবে না। সব
সময় কে দাম দিতে হবে। তবে আপনি আপনার লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে পারবেন।
এছাড়াও নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম পাড়তে হবে, সময়ের খাবার সময় খেতে
হবে, দৈনন্দিন ঘুম থেকে ভরে উঠতে হবে, সকল ধরনের নেশা দ্রব্য থেকে বিরত
থাকতে হবে, বাজে বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এবং
কাজের জন্য একটি সুন্দর রুটিন বেছে নিতে হবে। এভাবে আপনি নিয়মিত চলে আপনার লাইফ
স্টাইল এমনিতেই পরিবর্তন হয়ে যাবে।
রমজান মাসে লাইভস্টাইলের খুঁটিনাটি
পবিত্র মাস আসার সাথে সাথেই সকলেরই লাইফস্টাইল এর একটি পরিবর্তন দেখা যায়। ঘুমের সময়সূচি থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া, ক্লাস, অফিস এর সময় গুলো পরিবর্তন হয়ে যায়। রমজান মাসে লাইভ স্টাইল পরিবর্তন এর ফলে আমাদের রুটিন এর মধ্যে গোলমাল দেখা দেয়। কিন্তু একটু সতর্কতা অবলম্বন করলেই রুটিন এর গোলমালের ব্যাপারটি সংশোধন করা যায়।
ঘুমের ব্যাপারেঃ রমজান মাসে সর্বপ্রথম ঘুমের রুটিনের পরিবর্তন ঘটে। কেননা রাতে ঘুমানোর কয়েক ঘন্টা পরেই সেহরির জন্য উঠতে হয়। এছাড়াও সকাল বেলা তো ক্লাস-অফিস আছে। এই কম ঘুম পাড়ার ফলে শরীরে ক্লান্তি চলে আসবে মাঝে মাঝে শরীরের মধ্যে ঝিমানি ভাবচলে আসবে। তাই রমজান মাসে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় একটু আগে ঘুমাতে হবে। অর্থাৎ রাত ৯ টা থেকে ১০ টার মধ্যে ঘুমাতে হবে। ঘুমটা যদি ভালো হয় সারাদিনটা ভালো কাটবে।
সেহরি খাবার নিয়েঃ সেহরি খাওয়া নিয়ে সকলের কতই না চিন্তাভাবনা। অনেকেই মনে করে সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে তাই ইচ্ছে মতো খাবার খায়। এটি মোটেই ঠিক নয়। হ্যাঁ আপনি পেট ভরে খেতে পারেন তবে আপনাকে প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। কেননা সারাদিন রোজা থাকার শরীরে ক্লান্তি চলে আসবে। এছাড়াও বেশি বেশি পানি খেতে অবশ্যই ভুলবেন না।
ইফতারি নিয়েঃ আপনারা সকলেই রোজা থাকার পর যখন ইফতারের সময় হয় তখন ভাবেন কত কিছুই না খাবো। কিন্তু দেখা যায় ইফতারের মেনুতে যে খাবারগুলো থাকে সবগুলি ভাজা পড়া টাইপের খাবার। সারাদিন পেট খালি রাখার পর ভাজাপোড়া খাবার খেলে শরীরের জন্য উপকারের বদলে অপকার বয়ে আনবে।
এই ভাজাপোড়া খাবার না খেয়ে আপনি পুষ্টি সম্মত খাবার খান। যেমন আপনি বিভিন্ন ফলমূল খেতে পারেন। একটু তরমুজ খেতে পারেন। রোজার সময়কার সকল ফলগুলো খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরে রোজা থাকার জন্য যে ক্লান্তি এসেছে তা নিরাময় হয়ে যাবে। ফলে আপনি চাঙ্গা অনুভব করবেন।
লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে সহকর্মীদের সাথে কেমন সম্পর্ক হওয়া উচিত?
লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে কর্মস্থলে একটি সুস্থ ও পেশাদার সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে. সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখলে কাজের পরিবেশ ভালো হয় কর্মদক্ষতা বাড়ে এবং মানসিক শান্তিও বজায় থাকে। সঠিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ফলে কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সহকর্মীদের সাথে সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত তার বিস্তারিত পিক তুলে ধরা হলো-
পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শনঃ সহকর্মীদের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখার প্রথম শর্তেই হচ্ছে পারস্পরিক সম্মান। প্রত্যেকের কাজে ও কথায় সম্মান প্রদর্শন করা এবং কর্মক্ষেত্রে সবার সাথে ইতিবাচক আচরণ করা। কাজের বিষয়ে কোন ধরনের মতভেদ থাকলে প্রত্যেকের মতামতকে শ্রদ্ধা সহকারে দেখা।
সহমর্মিতা ও সমর্থন প্রদানঃ সহকর্মীদের বিভিন্ন প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানো, কাজের চাপ কমাতে তাদের সাহায্য করা এবং যেকোনো সমস্যার সমাধান দিয়ে সহকারীদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করা। সমবেদনা এবং সহমর্মিতা পূর্ণ আচরণ দেখানো সহকর্মীদের সাথে।
নিয়মিত যোগাযোগ রাখাঃ সহকর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা। এতে করে তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। এটি আপনার লাইফ স্টাইল পরিবর্তনের একটি মাধ্যম।
অন্যের সফলতা দেখে খুশি হওয়াঃ সহকর্মীদের সফলতা দেখে খুশি হাওয়া এবং উৎসাহ দেওয়া। এতে মনের মধ্যে শান্তি বজায় থাকবে আর এভাবেই আপনার লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে পারবেন।
সাহায্যের হাত বাড়ানোঃ সহকর্মী দিন যেকোনো সমস্যায় পাশে দাঁড়ানো এবং নিজের সাধ্যমত সহযোগিতা করা। এতে করে সহকর্মীদের সাথে আপনার একটি সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। এভাবেই একটি সুন্দর লাইফ স্টোরি গঠন করা যায়।
পরিষ্কার এবং সংযত ভাষায় ব্যবহার করাঃ সহকর্মীদের সাথে সব সময় বিনয়ী, নম্র, ভদ্র ভাবে আচরণ করা। ইতিবাচক এবং আচরণে সহকর্মীদের সাথে ভালো সম্পর্ক গঠ নেসাহায্য করে। এভাবে আপনি সহকর্মীদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করি একটি সুন্দর লাইফ স্টাইল গঠন করতে পারেন।
শান্তি আইটির শেষ কথা
লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে চাইলে নিজেকে কঠোর পরিশ্রমে যেতে হবে। এছাড়াও নিজেকে সময় অপচয় করা থেকে বিরত রাখতে হবে। এবং সময়ের কাজ সময়েই করতে হবে অলসতা করে ফেলে রাখা যাবে না। এবং সব সময় খারাপ বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকতে হবে। নিজেকে সব সময় নিজের পছন্দের কাজের প্রতি আগ্রহি করে তুলতে হবে।
উপরের লেখা পোস্ট পড়ে যদি আপনার কাছে উপযুক্ত মনে হই। তাহলে আপনি এই ব্লগ পোস্টটি অনুসরন করতে পারেন। এতে আপনার লাইফ স্টাইল পরিবর্তন হবেই হবে। আমার মনে হই আপনারা এই ব্লগ পোস্ট পড়ে আপনাদের লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে সক্ষম হবেন। তাই আপনার লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে চাইলে উপরের দেওয়া নির্দেশনা গুলি অনুসরন করুন।
শান্তি আইটিতে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url