বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম নিয়ে পোস্টটি পড়ুন। ব্লগারে বাংলা আর্টিকেল রাইটিং টিপসের এই পোস্ট থেকে আপনি জানতে পারবেন এসইও বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ও প্রফেশনাল আর্টিকেল লেখার নিয়ম।

বাংলা-আর্টিকেল-লিখার-নিয়ম

কিভাবে একটি প্রফেশনাল বাংলা আর্টিকেল লিখবেন তা এই পোষ্ট থেকে আপনি জানতে পারবেন। এছাড়াও আপনি কিভাবে একটি পোস্ট লেখার জন্য কীওয়ার্ড বাছাই করবেন তাও এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন ।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানা অতি জরুরী। আপনি কিভাবে একটি বাংলা আজকের লিখবেন তা জানতে পারবেন। প্রথমে কিভাবে একটি বেসিক বাংলা লিখতে হয় তা জানতে পারবেন। এরপর একটি অন পেজ আর্টিকেল কিভাবে লিখতে হয় তা জানতে পারবেন। কিভাবে সঠিক কীওয়ার্ড বাসায় করবেন তাও জানতে পারবেন। চলে এবার জেনে নেওয়া যাক।

  • আপনাকে একটি টাইটেল দিতে হবে।
  • এরপর পোস্টের শুরুতে একটি ভূমিকা বাটন দিতে হবে।
  • এরপর পোস্টের একটি ভূমিকা দিতে হবে।
  • এরপর আপনাকে অবশ্যই একটি ফিচার পোস্ট দিতে হবে।
  • এরপর পোস্ট সূচিপত্র দিতে হবে।
  • এরপর পোস্ট প্যারাগ্রাফ লিখতে হবে।
  • এরপর পোস্টের একটি কনক্লুশন লিখতে হবে।

ব্লগারে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম

ব্লগারে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম অনুসারে বাংলা আর্টিকেল লিখতে হবে। এতে আপনার আর্টিকেলটি দেখতে অনেক মিনিমাইজ হবে। তাই ব্লগারের বাংলা আর্টিকেল লেখার জন্য নিচের কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করুন এটা আপনার ব্লক পোস্টটি অনেক সুন্দর হবে।

  • পোস্ট টাইটেল বা শিরোনাম ৫ থেকে ৮ শব্দের মধ্যে হতে হবে।
  • পোস্টের শুরুতে একটি ভূমিকা বাটন বানাতে হবে।
  • ভূমিকা বা মেটা ডিসক্রিপশন ৪ লাইন লিখতে হবে।
  • পোস্ট সূচীপত্রে মোট দশটা প্রয়োজনীয় হেডিং রাখতে হবে।
  • প্রথম হেডিং ফোকাস কীওয়ার্ড দিয়ে লিখতে হবে।
  • প্রতিটি হেডিং ৫ থেকে ৮ শব্দে লিখতে হবে। 
  • প্রতিটি হেডিং এ সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ টা প্যারা রাখতে হবে।
  • প্রতিটি হেটিংয়ে সর্বনিম্ন ২টা প্যারা রাখতে হবে।
  • প্রতিটি প্যারায় ৩ থেকে ৩.৫ লাইন লিখতে হবে।
  • পোস্টের মধ্যে চারটি আরো পড়ুন সেকশন তৈরি করতে হবে।
  • প্রতিটি পোস্টের মধ্যে তিনটা ফিচার ইমেজ ব্যবহার করতে হবে।
  • প্রতিটি ইমেজ এআই দিয়ে বানাতে হবে
  • পোস্টের মধ্যে সব লেখা জাস্টিফাই এলাইনমেন্টে রাখতে হবে
  • ফিশার ইমেজ সাইজ -1100/619 px রাখতে হবে।
  • ব্যান্ড লোগো সাইজ -500/500 px রাখতে হবে।
  • ফেভিকন সাইজ - 200/200 px রাখতে হবে।
  • হেডার লোগো সাইজ - 283/53 px রাখতে হবে। 
  • সোশ্যাল শিয়ার ইমেজ সাইজ - 100/1000 px রাখতে হবে।
  • ব্যানার এডি সাইজ - 1000/90 px রাখতে হবে।
  • প্রতিটা পোস্ট সর্বনিম্ন ১৫০০ ওয়ার্ডের হতে হবে।

অন পেজ আর্টিকেল লেখার নিয়ম

  • প্রতিটি পোস্টের লিখার ভাষা ইউনিক কোড ফরমেটে চলিত ভাষায় লিখতে হবে।
  • বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কন্টেন্টের মধ্যে ইংরেজি লিখা যাবে না।
  • বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ? ! - । এই চিহ্নগুলি ব্যতীত অন্য কোন চিহ্ন ব্যবহার করা যাবে না।
  • পোষ্টের পারমালিংক ইংলিশ কীওয়ার্ডে এক থেকে দুই শব্দে লিখতে হবে।
  • অন্য কোথাও লিখে রেখে সেটা কপি করে ব্লগারের পোষ্টে পেস্ট করে পাবলিশ করা যাবে না।
  • প্রতিটি পোস্ট অনলাইন ইনকাম, তথ্য, চিকিৎসা, শিক্ষ্‌ প্রযুক্তি, স্বাস্থ, ধর্মীয়, সমকালীন তথ্য এইসব বিষয় লিখতে হবে।
  • সারা বছর গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব এ যেসব সার্চ হয় হয় এরূপ বিষয়ে কনটেন্ট লিখতে হবে।
  • ইভেন, অকেশন ভিত্তিক কোন কনটেন্ট এর ক্ষেত্রে উক্ত ইভেন, অকেশন এর কমপক্ষে ৩০ দিন পূর্বে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করতে হবে।
  • ব্লক পোস্টে আপলোডকৃত প্রতিটি ছবি ওয়েবপি ফরমেটে ৫০ কিলোবাইটের মধ্যে সীমাবদ্ধ হতে হবে।
  • প্রতিটি হেডিং H2 ফরমেটে লার্জ অবশ্যই থাকবে।
  • কনটেন্ট এর মধ্যে ফোকাস কীওয়ার্ড প্রাসঙ্গিকভাবে মোট ১০ বার লিখতে হবে ফোকাস। এবং কীওয়ার্ড মডিফাই করে আরো বড় ৫ বার ব্যবহার করতে হবে।
  • অন্যান্য সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ড কন্টেন্ট এর মধ্যে প্রাসঙ্গিকভাবে দুইবার ব্যবহৃত হবে। এবং মডিফাই করে আরো একবার ব্যবহার করতে হবে।
  • কনটেন্ট এর মধ্যে ৫টি লং টেল কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
  • কনটেন্ট এর মেটা ডেসক্রিপশন শুরু করতে হবে ফোকাস কীওয়ার্ড দিয়ে।
  • কনটেন্ট এর প্রতিটি হেডিং এ ফোকাস কীওয়ার্ড মডিফাই করে ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে।
  • প্রতিটি কনটেন্ট এ কমপক্ষে একটি টেক্স লিংক করতে হবে।
  • প্রত্যেকটি কনটেন্ট এর সর্বনিম্ন চারটা ইন্টার্নাল লিঙ্ক বা আরো পুরো সেকশন করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ১১ টি এসইও (SEO) ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম

ফোকাস কীওয়ার্ড রিচার্চ করার পদ্ধতি

ফোকাস কীওয়ার্ড রিচার্চ করার পদ্ধতি জানতে আপনি নিচের এই নিয়মগুলো ফলো করতে পারেন। কিউট সাধারণত দুই ধরনের একটি হল শর্ট টেল কীওয়ার্ড এবং অন্যটি হলো লং টেল কীওয়ার্ড। যে কীওয়ার্ড দুই শব্দ নিয়ে গঠিত তাকে শর্ট টেল কীওয়ার্ড। এবং যে কীওয়ার্ড তিন বা এর বেশি শব্দ নিয়ে গঠিত তাকে লং টেল কীওয়ার্ড বলে

কীওয়ার্ড রিসার্চ প্রাথমিক ধারণা

  • ধরেন আপনি কীওয়ার্ড রিচার্চ করার সম্পর্কে কিছুই জানেন না তাহলে আপনি প্রথমে লিখবেন আমি।
  • তারপর আমি এর ওপর কারসর নিয়ে গিয়ে ক্লিক করবেন এতে নিচ দিয়ে আরো অনেক কীওয়ার্ড আসবে তা থেকে একটি সিলেক্ট করুন।
  • এই সিলেক্ট করা কীওয়ার্ড যদি আপনার পছন্দ না হয় তবে তার উপর কারসর নিয়ে আবার ক্লিক করুন নিচে আরো কীওয়ার্ড আসবে এভাবে আপনি আপনার কীওয়ার্ড বাছাই করতে পারেন।

অ্যাডভান্স কীওয়ার্ড রিচার্চ

  • একটি লং টেল কিওয়ার্ড বাছাই করে সেটাকে গুগলে সার্চ দিতে হবে।
  • এরপর এবাউট রেজাল্ট দেখতে হবে। যদি এবাউট রেজাল্ট কম থাকে তাহলে ওই কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করা যাবে।
  • এরপর সার্চ ভলুম দেখতে হবে। সার্চ ভলুম যদি কম হয় তবে ওই কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করা যাবে।
  • সার্চ ডিফিকাল্টি দেখতে হবে। যদি সার্চ ডিফিকাল্টি ১৫ এর নিচে হয় তবে কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করা যাবে।
  • পোস্ট ডিফিকাল্টি কম হতে হবে।
  • ডোমেইন অথোরিটি যত কম হবে সেই কীওয়ার্ড তত ভালো হবে। ডোমেইন অথরিটি ৫০ এর নিচে হলে সেই কিওয়ার্ডে কাজ করা খুবই ভালো হবে।
  • যেই কীওয়ার্ড সার্চ দিবেন সেই কীওয়ার্ডের প্রথম দশটি ওয়েবসাইটের মধ্যে নিউজ পেপার ওয়েবসাইটের সংখ্যা কম থাকতে হবে অর্থাৎ ১০ টি ওয়েবসাইটের মধ্যে তিন থেকে চারটি ওয়েবসাইট নিউজ পেপার হলে সেই কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করা যাবে।

KGR Score ব্যবহার করে কীওয়ার্ড রিচার্চ

  • KGR Score ব্যবহার করে কীওয়ার্ড রিচার্জ করতে গুগলে allintitle: এরপর আপনার কাঙ্খিত কিওয়ার্ড লিখে সার্চ দিলে যে এবাউট রেজাল্ট পাওয়া যায় সেটাকে সার্চ ভলুম দ্বারা ভাগ করতে হবে 
  • যদি ফলাফল ০.২৫ এর কম হয় তবে সেই কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করা যাবে।
  •   যদি ফলাফল ০.২৫ এর চেয়ে বেশি এবং ১ এর চেয়ে কম হলে কাজ করা করে ওয়েবসাইট র‍্যাঙ্ক করানো একটু কঠিন হয়। 
  • আবার যদি ফলাফল এর চেয়ে বেশি হয় তবে আপনার প্রথম ওয়েবসাইট তাই এই ফলাফলের কি ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে আপনার ওয়েবসাইট র‍্যাঙ্ক করানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।

এই ছিল কীওয়ার্ড রিচার্চ এর সকল ধরনের পদ্ধতি। যদি আপনার এই কিওয়ার্ড রিচার্চ এর পদ্ধতিকে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি এই পদ্ধতিতে আপনার কাঙ্খিত কীওয়ার্ড রিচার্চ করতে পারেন। আসল কথা হচ্ছে কীওয়ার্ড রিচার্চ করা হচ্ছে একটি কন্টেন লেখার মূল বিষয়। একটি কন্টেন এসইও ফ্রেন্ডলি হতে হলে অবশ্যই কীওয়ার্ডটি ভালো হতে হবে।

ফোকাস কিওয়ার্ড - কন্টেন রাইটিং শেখার উপায়

বাংলা-আর্টিকেল-লিখার-নিয়ম

ফোকাস কি ওয়ার্ড আসলে একটি আর্টিকেল বা পোস্টের হৃদপিণ্ড। আসলে ফোকাস কিওয়ার্ড ছাড়া কোন আর্টিকেল গুগল সার্চ এর প্রথম পেইজে আসেনা। এখন আপনার মনে একটা প্রশ্ন জাগতে পারে ফোকাস কিওয়ার্ড জিনিসটা কি? ধরেন, কিভাবে বাংলা আর্টিকেল লিখতে হয় এই নিয়মগুলি আপনি জানেন না তাহলে তা কিভাবে আপনি লিখবেন?  

নিশ্চয়ই আপনি গুগলের সার্চ দিয়ে শিখে নেবেন তাই না? তবে আপনি গুগলে কি লিখে সার্চ দিবেন বলুন তো! অবশ্যই, আর্টিকেল লেখার নিয়ম বা বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম, এই ভাবেই লিখে সার্চ দিবেন তাই না! হ্যাঁ এটাই হচ্ছে সেই কীওয়ার্ড। অর্থাৎ যেটা লিখে আপনি সার্চ দিবেন কোন কিছু জানার জন্য সেটাই হচ্ছে কীওয়ার্ড।

কোন একটি বিষয়ে জানার জন্য অনেকগুলো ফোকাস কীওয়ার্ড মানুষ ব্যবহার করে। যেমন ধরুন জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে চেক করতে বা ডাউনলোড করতে কি লিখে গুগল থেকে সার্চ করবেন বলুনতো দেখি! অবশ্যই আপনি নিজের এই বিষয়গুলো লিখবেন-

  • জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম
  • ভোটার আইডি কার্ড দেখার নিয়ম
  • ভোটার আইডি কার্ড চেক
  • আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই
  • মোবাইলে ভোটার আইডি চেক জাতীয় পরিচয় ডাউনলোড
অবশ্যই উপরের এই কীওয়ার্ড গুলো দিয়ে সার্চ করবেন তাই না! জি এইট কীওয়ার্ডগুলোই হচ্ছে ফোকাস কিওয়ার্ড। গুগলের সার্চের প্রথম পেজে আপনার আর্টিকেল আনতে অবশ্যই আপনাকে একটি পোস্টের মধ্যে অনেকগুলো ফোকাস নির্বাচন করতে হবে। এবং সেই প্রত্যেকটি ফোকাস কীওয়ার্ড পোস্টের মধ্যে দশবার করে লিখতে হবে।

ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোথাও আর্টিকেল লিখে রাখা

অনেকেই আছে যারা মূল ওয়েবসাইটের পোস্টটির মধ্যে না গিয়ে অন্য কোথাও আর্টিকেল লিখে থাকেন। এবং সেটা কপি করে সরাসরি ওয়েবসাইটে নিয়ে এসে পেস্ট করেন। কেউ মোবাইলের নোটপ্যাডে লিখে রাখে কেউবা কম্পিউটারের মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লিখে রাখেন আর্টিকেলগুলি এবং সেখান থেকে কপি করে নিয়ে এসে ওয়েব সাইটে পেস্ট করে পাবলিশ করেন।

এইভাবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর মত প্রোগ্রামে পোস্ট লিখে সেভ করে রাখলে পরবর্তীতে কপি করার সময় সেখানকার বিভিন্ন প্রিফরম্যাটও কপি হয়ে যায়। যার ফলে ওয়েবসাইটে লেখা পোস্ট করার পর অনেক সময় ফোন চেঞ্জ ও ছোট বড় বিভিন্ন ফরম্যাটিং সমস্যা দেখা দেয়। তাই আপনার প্রতি অনুরোধ থাকবে ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোথাও পোস্ট লিখে সেভ করে রাখবেন।

ইমেজ সোর্স লিংক করে ছবি যুক্ত

বাংলা কনটেন্ট রাইটিং করার সময় অনেকে আছেন অনলাইন থেকে ছবি ডাউনলোড করে আর্টিকেলের মধ্যে আপলোড করে থাকেন। আবার অনেকে আছেন যারা ছবি ডাউনলোড না করে ছবির সোর্স লিংকিং পোস্ট এর মধ্যে ব্যবহার করে থাকেন। অর্থাৎ ছবির লিংক কপি করে নিয়ে বাই ইউ আর এল মাধ্যমে পোস্টটি ব্যবহার করে থাকেন।

যেটা করা মোটেও উচিত নয়, কেননা সোর্স ওয়েবসাইটের মালিক কখনো যদি ছবি ডিলিট করে দেন তবে আপনার লেখা আর্টিকেলে ওই ছবি আর দেখাবে না। তাই আপনি ছবির সোর্স লিংক ব্যবহার না ছবিটি ডাউনলোড করে আর্টিকেলের মধ্যে আপলোড করেন। আশা করছি আপনি এই বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।

ক্রিয়েটিভ কমনস লাইসেন্স থেকে ছবি ডাউনলোড

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে কপিরাইট ছবি ডাউনলোড করে নিজের আর্টিকেলের মধ্যে আপলোড করা যাবে না। ছবি খোঁজার ক্ষেত্রে সব সময় ইমেজ এর মধ্যে গিয়ে টুলস অপশনে ক্লিক করে ইউজেস রাইটস অপশনে ক্লিক করে এরপর ক্রিয়েটিভ কমনস লাইসেন্স ক্লিক করে এখানে প্রবেশ করে এখান থেকে ছবি ডাউনলোড করতে হবে।

ক্রিয়েটিভ কমনস লাইসেন্স এ যে ছবিটি আপনার পছন্দ হবে সেই ছবির উপর ক্লিক করতে হবে। এরপর ছবিটি স্কিনের ডান সাইটে যাবে। এখন ওই ছবিটির উপর মাউস পয়েন্ট নিয়ে দিয়ে রাইট ক্লিক করে সেভ এস অপশনে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে হবে। অবশ্যই ছবিটি জেপিজি, পিএনজি, ওয়েব পি অথবা জেপিসিজি এই ফরমেটে থাকতে হবে।

সূচিপত্র-কন্টেন্ট রাইটিং টিপস

রাইটিং শেখার উপায় যতগুলো আছে তার মধ্যে অন্যতম সেরা হচ্ছে সূচিপত্র। একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে সূচিপত্র অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা কোন আর্টিকেলের শুরুতে সূচিপত্র দেখে আপনি সহজেই পুরো পোস্ট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় সূচিটি খুঁজে পেতে পারেন এবং উক্ত লেখার উপর চাপ দিয়ে সেই বিষয়েই সহজে পড়ে ফেলতে পারবেন।

তাই বাংলা আর্টিকেল লেখার মধ্যে পোস্টের সূচিপত্র দেওয়া পাঠকদের পড়ার জন্য একটি সুবিধাজনক বিষয়। তাই একটি পোস্টের সূচিপত্রের মধ্যে সর্বনিম্ন ১০ টি হেডিং রাখবেন। নিচের এই কোডগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার পোস্টের সূচিপত্র বানাতে পারবেন। চলেন তাহলে কোড গুলো দেখে নেওয়া যাক-

হেল্পঃ ইউনিক id="anithing_linking" এবং লিংকিংঃ #anything_linking

আরো পড়ুন সেকশন-ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন্ট রাইটিং

আপনারা দেখবেন বিভিন্ন পোস্টের মধ্যে সেখানে প্রাসঙ্গিকভাবে অন্যান্য পোস্টের লিংক যুক্ত করা আছে। যেভাবে আমার ওয়েবসাইটে নিচে যুক্ত করা আছে। আপনি যেই সাইটে পোস্ট লিখবেন সেই সাইটের প্রতিটি পোস্টের মধ্যে আপনি উক্ত সাইটের বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক লিংক সমযুক্ত করে দিবেন।

এতে করে পাঠককে আপনি একটি লোকের মধ্যে ফেলে দিতে পারবেন। তাতে একটি পোস্ট পড়তে এসে অনেকগুলো পোস্ট পড়ে ফেলবে ফলে আপনার সাইটের ইনকাম বৃদ্ধি পাবে। কোন কোডগুলি ব্যবহার করে আপনি আরো বলুন সেকশন তৈরি করবেন তা নিচে দেখেন।

হেল্পঃ <div class="alert info">যেটি আপনি আরো  পড়ুন সেকশনে রাখবেন সেটা এর মধ্যে লিখুন</div>

আরো পড়ুনঃ ছাত্রদের অনলাইন ইনকাম - ছাত্র জীবনে ইনকাম

বাংলা আর্টিকেল লিখার বেসিক পদ্ধতি 

লাইন গ্যাপ দিয়ে বাংলা কন্টেন রাইটিং - অনেকে আছেন যারা ২ মধ্যে কয়েকটি লাইন গাপ দিয়ে থাকেন। এমনকি করা যাবে না। একটি শুদ্ধ বাংলা কনটেন্ট লেখার নিয়ম হলো সর্বোচ্চ এক লাইন গ্যাপ দেওয়া।

পোস্ট ফরমেটিং - বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম হলো সুন্দর করে আর্টিকেল ফরমেটিং করা । পুরো আর্টিকেল লিখার এলাইনমেন্ট জাস্টিফাই ও আর্টিকেল এর মধ্যে ছবি এলাইনমেন্ট সেন্টার ব্যবহার করা উচিত।

নতুন আর্টিকেল এর ইমেইল নোটিফিকেশন - প্রতিটি ওয়েবসাইটেই নতুন আর্টিকেল প্রকাশের পর ইমেইল নোটিফিকেশন সেন্ড করার ব্যবস্থা থাকতে হবে যাতে পাঠকরা নতুন পোস্টের এলার্ট সহজেই পেয়ে যেতে পারে। 

আর্টিকেল টাইটেল - একটি আর্টিকেল এর টাইটেল যেন ৫ থেকে ৯ শব্দের মধ্যে হয় এবং পোস্ট শিরোনাম পড়ে যেন বোঝা যায় পোস্টটি কি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কারণ প্রতি ১০ জন পাঠকের মধ্যে ৮ জনই শুধুমাত্র পোস্ট শিরোনাম পড়েই পোস্ট না পড়ে অন্য কোথাও চলে যায় যার কারণ পোস্ট শিরোনাম পছন্দ না হওয়ায়।

আর্টিকেলের ভূমিকা - একটি আর্টিকেল লেখার সঠিক নিয়ম হচ্ছে আর্টিকেল এর শুরুতেই ৪ থেকে ৫ লাইনের একটি ভূমিকা যাতে পাঠক শুরুর ভূমিকা পরেই বুঝতে পারে পুরো পোস্ট কি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

টিচার ইমেজ - প্রত্যেক আর্টিকেলের মধ্যেই ন্যূনতম পাষাণ কিভাবে রাখতে হবে। প্রত্যেক আর্টিকেলের মধ্যেই চারটি ফিচার ইমেজ রাখতে হবে।

প্যারাগ্রাফ শিরনাম - প্রতিটি পোস্ট প্যারাগ্রাফ শিরোনাম দিবেন হেডিং ব্যবহার করে। যাতে পাঠক বুঝতে পারে কোন প্যারায় কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেন প্রত্যেক প্যারাতে গড়ে পাঁচ লাইন লিখা থাকে।

আর্টিকেল বডি - একটি পোস্টের ন্যূনতম দশটি প্যারাগ্রাফ শিরোনাম রাখা উচিত। একটি পোস্টে ন্যূনতম ১০ টি পেরা রাখা উচিত। একটি পোস্টের সব মিলিয়ে ৬০০ শব্দের বেশি শব্দ ব্যবহার করা উচিত. কোন কিছুর বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, অসুবিধা লিখার সময় সেগুলো প্যারাগ্রাফের মতো না লিখে বুলেট লিস্ট আকারে লিখা উচিত।

আর্টিকেলে আপনি, আমি শব্দ ব্যবহার - যত বেশি পারেন আর্টিকেলের মধ্যে আপনি আমি এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করবেন যাতে করে পাঠকেরা মনে করে যে আপনি তাদের সাথে গল্প করছেন। আর্টিকেল লিখার নিয়ম গুলির মধ্যে এটি একটি সেরা টিপস।

আর্টিকেল এলাইনমেন্ট - পোস্ট এর ভেতর পিকচার ইমেজগুলোকে সেন্টার এলাইনমেন্ট এ রাখবেন এবং এই পোস্টে লিখাগুলোকে জাস্টিফাই এলাইনমেন্ট এ রাখবেন যাতে লেখাগুলো বইয়ের লেখার মত হয়।

কনক্লুউশন - আপনার মতামত দিয়ে চার থেকে পাঁচ লাইনের কনক্লুউশন লিখা উচিত যাতে করে পোস্টের বিভিন্ন অংশ সম্পর্কে পাঠকেরা লেখকের মতামত পায়। 

বাংলা-আর্টিকেল-লিখার-নিয়ম

কি ওয়ার্ড সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য

  • যে কি ওয়ার্ড ব্যবহার করবেন পোস্টে সেটা পোস্টার টাইটেল হিসেবে ব্যবহার করবেন।
  • আপনার টাইটেল এ কিছু বর্ণনা যুক্ত করুন যেন সার্চ ইঞ্জিনিয়ার কোন সন্তানের সময় ব্যবহারকারী আপনার সাইটের এই বর্ণনা দেখতে পারে।
  • সব সময় এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করুন এইচ টু ট্যাগ ব্যবহার করে।
  • পার্মালিঙ্ক নাম্বার ব্যবহার করবেন না। এতে পরবর্তীতে এটা এসইও সহায়ক হয় না।এসইও সহায়ক হয় না এখানে কিওয়ার্ড ব্যবহার করা ভালো

আরো পড়ুনঃ বডি ফিটনেস ঠিক রাখার উপায়

আর্টিকেল লিখার আগে কয়েকটি বিষয় দেখতে হয়

  • টার্গেট কিওয়ার্ড
  • আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য 
  • আর্টিকেলে টাইপ 
  • আর্টিকেলের বিশ্লেষণ 
  • পাঠক জিজ্ঞাসা

টার্গেট কিওয়ার্ড -কীওয়ার্ডের জন্য SEMrush বা Ahrefs ঠিকই দেখে নিন বিভিন্ন টার্গেট কীওয়ার্ড গুলি। এই দুটো টুলস ভালো কীওয়ার্ড অনুসন্ধানের সাহায্য করবে এবং সঠিক কীওয়ার্ড অপটিমাইজেশনের সাথে করবে।

আর্টিকেল এর দৈর্ঘ্য - একটি আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য কতটুকু হওয়া উচিত সেটা জানার জন্য এসইও রেমবার র‍্যাম্বার ব্যবহার করুন। এটা আপনাকে একটা ধারণা দিবে র‍্যাঙ্কিং এ প্রথম পেজে যাওয়ার জন্য একটা আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য কেমন হওয়া উচিত।

আর্টিকেলের টাইপ - আপনি আপনার টার্গেট কীওয়ার্ড গুগল সার্চে সার্চ দিয়ে দেখে নিতে পারেন কোন ধরনের আর্টিকেলে এখন র‍্যাঙ্কিং এ শীর্ষে আছে এই অনুসন্ধানের অংশটি এবং গুগল আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে কি ধরনের আর্টিকেলগুলো গুগল অনুসন্ধানের জন্য ভালো মানের।

আর্টিকেল বিশ্লেষণ - আপনার টার্গেট কীওয়ার্ডের টপ টেন রেজাল্ট বিশ্লেষণ করেন। যদিও এটা কষ্টসাধ্য কিন্তু এসইও র‍্যাঙ্কিংয়ে টপর্যাঙ্কিং এ যাওয়ার কোন সহজ ব্যাপার নয়। এটা আপনার টপ র‍্যাঙ্কিং এ যাওয়া সহজ করে দিবে।

পাঠক জিজ্ঞাসা - আপনাকে কীওয়ার্ড অনুসরণ করুন গুগলে এবং সেটা আপনাকে একটি সেকশন দেখাবে সার্চ রেজাল্টে এর নিচে যেখানে লেখা থাকবে বাংলাতে "লোকজন আরো জিজ্ঞাসা করে" এই প্রশ্নগুলোকে আপনার আর্টিকেলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে এগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এটা একটি এসইও অপটিমাইজড কনটেন্ট লেখার স্মার্ট পদ্ধতি।

লেখকের শেষ কথা

বাংলা আটকে লিখার নিয়ম নিয়ে এই পোস্টটিতে যা লেখা হয়েছে। আপনি তা অনুসরণ করে একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে পারবেন। এবং আপনার আর্টিকেলকে খুব সহজেই গুগল পেজের প্রথম সারিতে নিয়ে আসতে পারবেন। এটি একটি ব্লগার ওয়েবসাইটে বাংলা আর্টিকেল লেখার প্রোফেশনাল টিপস।

আমি আশা করছি আপনারা এই পোস্টটি পড়ে একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে পারবেন। এবং খুব সহজেই গুগলের র‍্যাঙ্ক করাতে পারবেন। যদি আপনাদের বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কিত এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনি এই পদ্ধতি অবলম্বন করে একটি সুন্দর পোস্ট লিখতে পারেন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শান্তি আইটিতে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url