মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় গুলো আমাদের জানা উচিত। আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের নেই মানসিক স্বাস্থ্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন অত্যাবশ্যকীয় একটি বিষয়। তাই মানুষের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার বিষয়গুলো নিয়ে জানতে হবে।

মানসিক-স্বাস্থ্য-ভালো-রাখার-উপায়

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে একজন ব্যক্তি আরো উৎপাদনশীল হয়ে উঠে এবং নিজের ও সমাজের উন্নয়নে আরও বেশি ভূমিকা পালন করে। তাই যেকোনো মুহূর্তে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হবে।

পোস্ট সূচীপত্রঃ মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়

নিজের যত্ন নেওয়া - মানুষের সুস্থতা ও সুস্থ থাকতে নিজের প্রতি নিজে যত্ন নেওয়া। নিজের জন্য কিছু সময় আলাদা রাখুন, নিজের মনের কথা শুনুন, বই পড়েন, কুরআন তেলাওয়াত করুন এবং এর পাশাপাশি আশেপাশে ঘুরাঘুরি করুন। অতীত ও ভবিষ্যৎ ভুলে বর্তমান বিষয় নিয়ে থাকার চেষ্টা করুন। এবং নিজের প্রতি যত্নবান হন। এতে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে।

পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ - বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার কেবল আমাদের শারীরিক সুস্থতা নয় বরং মানসিক সুস্থতা ও দান করে। অন্যদিকে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটি খাবার আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করে। ভিটামিন বি-১২, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার আমাদের মস্তিষ্কের আবেগ নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন গুলোকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে।

এছাড়াও তাজা ফলমূল ও সবজি এইগুলি খাবার আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার উপর অনেক প্রভাব ফেলে। তাছাড়া পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এর ফলে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আমাদের সুষমা খাদ্য গ্রহণ করা উচত।

পর্যাপ্ত ঘুম - আমাদের শরীর ও মানুষের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। কারণ প্রদত্ত ঘুমের অভাবে আমাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠে ফলে আমরা ক্লান্তিবোধ অনুভব করি এবং আমাদের কমে যায় কর্ম স্পৃহা। ঘুমের সময় আমাদের শরীরে এমন কিছু হরমোন নিঃসৃত হয় যেগুলো আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও মেজাজকে চাঙ্গা রাখে। তাই পর্যন্ত ঘুম পারা উচিত।

নিয়মিত ব্যায়াম - নিয়মিত ব্যায়াম যেমন শারীরিক সুস্থতার জন্য অতি প্রয়োজনীয়। তেমনি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ব্যায়াম অতি জরুরী। ব্যায়ামের ফলে শরীরে ক্লান্তি ও মানসিক চাপ হ্রাস পায়। তাই মনকে চাঙ্গা রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করার উপায় করতে হবে।

শখের কাজ করা - আপনি যে কাজটি করতে পছন্দ করেন সে কাজটি মন দিয়ে ভালোভাবে করতে হবে। আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। দুশ্চিন্তা মাথায় আসে না এবং অপ্রয়োজনীয় আবেগ গুলিও প্রকাশ পায় না। কাজ করার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখা সম্ভব। তাই নিয়মিত শখের কাজগুলো করতে পারেন। এটি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা - নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা একটি মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার উপায়। নিজের দুর্বলতা গুলোকে মেনে নিয়ে নিজের ক্ষমতার অপর বিশ্বাস রাখলে জীবনে এগিয়ে চলার পথে সাহস পাওয়া যায়। আমরা কেউ চারিদিক দিয়ে পারফেক্ট নয়। তাই নিজের দুর্বলতা নিয়ে চিন্তা করা বোকামির কাজ। এতে মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। তাই নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখা উচিত।

কৃতজ্ঞ থাকা - আপনি সারাদিন কি পেয়েছেন তার একে লিস্ট বানিয়ে নিন এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করুন। আপনি কি পাননি কি পেয়েছেন কি পাচ্ছেন না এগুলি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা থেকে দূরে থাকতে হবে এবং যা পেয়েছেন এতে কৃতজ্ঞ থাকতে হবে। তা না হলে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যাবেন। তাই মানসিক সুস্থ থাকতেই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা শিখুন।

ক্ষমা করা - দীর্ঘদিন ধরে কারো প্রতি ক্ষোভ, রাগ জমাতে থাকলে আপনার মানসিক অসুস্থতার সূত্রপাত ঘটবে। তাই মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে চাইলে অন্যের প্রতি ক্ষোভ, রাগ এগুলি নিজের অন্তরে পোষণ করা যাবে না। সব সময় অন্যকে ক্ষমা করে দেওয়ার মন-মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে।

প্রিয়জনদের সঙ্গে বেশি বেশি করে সময় কাটানো - প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটালে মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ থাকে। নিজেকে ঘর বন্দী রাখবেন না এটি আপনার মধ্যে বিভিন্ন হতাশা ও দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকবে ফলে আপনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তাই মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারের সাথে মন খুলে মেলামেশা করা উচত।

সক্রিয় থাকা - মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়গুলোর মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অবশ্যই বসতে থাকলে আপনার মধ্যে অনেক দুশ্চিন্তা সৃষ্টি হবে। তাই সব সময় নিজেকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখা উচত। এতে আপনার মধ্যে থেকে অলসতা দূর হয়ে যাবে। ফলে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

আরো পড়ুনঃ বডি ফিটনেস ঠিক রাখার উপায়

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার দশটি উপায়

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় বিষয়টি প্রত্যেক মানুষের একটি অপরিহার্য বিষয়। কারণ একটি মানুষের শারীরিক সুস্থতা পাশাপাশি মানুষই সুস্থতা না থাকলে তার জীবনের কোন মূল্য থাকে না। সে কোন কিছু করেই শান্তিতে থাকতে পারবেনা। আপনাদের সাথে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার দশটি উপায় নিয়ে আলোচনা করব।

মানসিক-স্বাস্থ্য-ভালো-রাখার-উপায়

পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে - ঘুম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঘুম মানুষের মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থ গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই রাসায়নিক পদার্থ আমাদের মেজ আবেগগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই মানসিক স্বাস্থ্য ধরে রাখতে হলে মস্তিষ্কে একটি বিশ্রাম দিতে হবে। তাই আমাদের নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম পড়া উচত

পুষ্টিকর খাবার - পুষ্টিকর খাবার শুধু আমাদের শারীরিক সুস্থতা দান করে না। এর পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা দান করে। যেমন কিছু খাদ্য আয়রন ও ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতির কারণে আমাদের মেজাজ এর পরিবর্তন ঘটে। ফলে মেজাজ খিটখিটে, হতাশা, উদ্বিগ্ন ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অবশ্যই আমাদের সুষম খাদ্য খেতে হবে।

অ্যালকোহল, ধূমপান ও মাদক পরিহার - অ্যালকোহল, ধূমপান ও মাদক এর কারণে মানুষের মানসিক চাপে সৃষ্টি হয়। ধূমপান ও মাদকের ফলে মানুষের মস্তিষ্কের নানান ধরনের ক্ষতি সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে শরীরে থায়ামিন ঘাটতি পড়ে যায়। আর এই থায়ামিন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ধুমপান মুক্ত জীবন গড়ুন।

সূর্যের আলো গায়ে মাখুন - সূর্যের আলো ভিটামিন ডি এর একটি বড় উৎস। ভিটামিন ডি যার শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মস্তিষ্কের ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে ফলে মেজাজ আরো উন্নত হয়। শীতের সময় অনেকে হতাশ হয়ে পড়ে কারণ শীতের সময় সূর্যের আলো পাওয়া যায় না। নিয়মিত সূর্যের আলো গায়ে মাখুন এতে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।

শরীরচর্চা আবশ্যক - মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অবশ্যই আমাদেরকে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। কারণ যত বেশি সক্রিয় থাকবেন মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থগুলো তত বেড়ে যাবে। আপনার মন কি সুস্থ। এর জন্য আপনি নিয়মিত হাটাহাটি করুন, কাইক পরিশ্রম করুন এতে আপনার মানুষের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

যা ভালো লাগে তাই করুন - মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে চাইলে বা ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত যা করতে ভালো লাগে সেই কাজগুলো করুন। এতে আপনার মানসিক প্রেসার গুলো কমে যাবে। ফলে আপনার মস্তিষ্ক ক্লিন থাকবে। তাই এই কাজগুলো করতে ভালো লাগে নিয়মিত সেই কাজগুলো করার চেষ্টা করুন। হতে পারে সেগুলো খেলাধুলা, পড়াশোন্‌ কৃষি কাজ ইত্যাদি।

দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন - আপনি মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য সকল প্রকার দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। কেননা দুশ্চিন্তা আমাদের মস্তিষ্কে নানা ধরনের ইফেক্ট ফেলাই। যা আমাদের মানসিক চিন্তাভাবনা বিঘ্ন ঘটায়। এতে আমাদের মানসিক রোগের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সকল প্রকারের দুশ্চিন্তা থেকেই দূরে থাকুন।

সকলের সাথে মিশুক হওয়ার চেষ্টা করুন - যখন আপনি সকলের সাথে মিশুক হতে পারবেন তখন আপনার মস্তিষ্ক থেকে সকল প্রকার চিন্তা দূর হয়ে যাবে। এতে করে আপনার মানসিক চাপ থাকবে না ফলে আপনি মানসিকভাবে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ থাকবেন। তার সকলের সাথে মিশুক হওয়ার চেষ্টা করুন।

অন্যদের সাহায্য করুন - যখন আপনি অন্যদের প্রতিটা বিষয়ের সাহায্যে সহযোগিতা করবেন। এবং সাহায্য ফুল হবেন তখন আপনার মধ্যে সকল প্রকার অহংকার দূর হয়ে যাবে। ফলে আপনার মধ্যে কোন প্রকার অশান্তি, দুশ্চিন্তা থাকবে না। এতে আপনি সকল প্রকার মানসিক চিন্তা থেকে মুক্ত থাকবেন। তাই অন্যদের সাহায্য করার চেষ্টা করুন।

অন্যদের থেকে সাহায্য নিন - আপনি অন্যদের থেকে যখন সাহায্য নিবেন তখন আপনার মধ্যে এবং অন্যদের মধ্যে একটি ভালোবাসার সম্পর্ক সৃষ্টি হবে। এতে আপনার মধ্যে কোন ধরনের হিংসা বা অহংকার থাকবে না। হলে আপনি অবশ্যই মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন। তাই অন্যদের থেকে সাহায্য নেওয়ার চেষ্টা করুন।

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যেসব খাবার খাবেন

মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিকভাবে কোন মানুষকে থাকলে তবেই তাকে সুস্থ বলা যাবে। মানুষের সকল দিকে তাদের নজর রাখলেও মানুষের স্বাস্থ্যের প্রতি একদম নজর রাখে না। অথচ মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থতা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

মানসিক স্বাস্থ্য বলতে সংবেদনশীল, সামাজিক এবং মানসিক স্তরের সুস্থতা কে বুঝায় এটি আমাদের চিন্তাভাবনা, অভিনয়, অনুভূতিকে প্রভাবিত করে। বা মানসিকভাবে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে অবশ্যই পুষ্টি সম্পন্ন খাবার গ্রহণ করতে হবে।

  • ওমেগা৩ সমৃদ্ধ খাবার যেমন আখরোড ফ্লাক্স সিড, তৈলাক্ত মাছ ইত্যাদি।
  • দানা শস্য - বাদামি চাল, ওটমিল, বাজরা, গম ইত্যাদি।
  • ভিটামিন ডি - সূর্য আলোই হচ্ছে ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস। এ ছাড়া ভিটামিন সমগ্র খাবার হল মাশরুম, ডিমের কুসু্‌ সলমন।
  • ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার - কলা, বাদাম, কাজু, মটরশুঁটি এগুলো হচ্ছে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
  • আন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন বেরি, সবুজ শাক-সবজি, ডার্ক চকলেট, আদা, হলুদ ইত্যাদি।
  • প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার যেমন হতে পারে দই, বাটার মিল্ক, ঘরের তৈরি আচার ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে হয়

মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় করনীয় কাজের তালিকা

  • পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো 
  • পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
  • অ্যালকোহল, ধূমপান ও মাদক পরিহার করা
  • সূর্যের আলো গায়ে মাখানো
  • দুশ্চিন্তা দূরে রাখা
  • শরীরচর্চা আবশ্যক করা
  • যে ধরনের কাজ করতে ভালো লাগে সে ধরনের কাজ করা
  • সকলের সাথে মিশুক হওয়া 
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
  • ধূমপান বন্ধ করা 
  • অলস শুয়ে বসে থাকা কমানো

মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায় 

মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় নিয়ে উপরে আলোচনা করেছেন। যদি আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে চান তবে আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, নিয়মিত ঘুম পারতে হবে, অলস জীবন কাটানো থেকে দূরে থাকতে হবে, ধূমপান মুক্ত থাকতে হবে, মানসিক চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।

আপনার শারীর স্বাস্থ্য তার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা ও ঠিক রাখা অতি জরুরী তাই আপনাকে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে চাইলে এই ধাপ গুলো অনুসরণ করুন। তবে আপনি আপনার শরীর সুস্থ রাখতে পারেন। মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে নিয়মিত পুষ্টি সম্পূর্ণ খাবার খেতে হবে। নিয়ম ব্যায়াম করতে হবে। তাহলে অবশ্যই মানুষের স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে।

আজীবন মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়

আজীবন মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে চাইলে নিচেই এই পয়েন্টগুলো ফলো করুন। এটা আপনি আজীবন সুস্থ থাকতে পারবেন বলে আশা করি। তাই নিজের এই কতিপয় বিষয়গুলো দেখুন।

মানসিক-স্বাস্থ্য-ভালো-রাখার-উপায়

  • সুষম খাদ্য গ্রহণ করা
  • হাইড্রেশন করা
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো
  • অ্যালকোহল এবং তামাক থেকে দূরে থাকা
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা 
  • ভালো স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করা
  • মানসিকভাবে সুস্থ থাকা
  • ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ থেকে বিরত থাকা

আরো পড়ুনঃ শৈশবকালে শিশুদের সাধারন অসুস্থতা এবং তাদের চিকিৎসা

    স্বাস্থ্য কিভাবে ভালো রাখা যায়

    • সঠিক সময় সঠিক খাবার খাওয়া
    • সবজি ও ফলমূল খাওয়া
    • প্রতিদিন পর্যন্ত পরিমাণে পানি পান করা 
    • নিয়মিত ব্যায়াম করা
    • প্রতিদিন পর্যন্ত আলো বাতাস গ্রহণ করা
    • শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়মিত চেকআপ করা
    • সারাদিন অন্তত পাঁচটি সবজি আপনার খাদ্যের তালিকায় রাখা

    লেখকের শেষ কথাঃ মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়

    মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়, আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শারীরিক সুস্থতার সাথে সাথে ও মানসিক সুস্থতার দরকার। কেননা মানুষ মানসিক অসুস্থ থাকার কারণে সব সময় সকল কাজের হতাশা প্রকাশ করে। তাই সকল প্রকার হতাশা থেকে বাঁচার জন্য আমাদের মানুষের সুস্থতা নিয়ে পড়তে হবে।

    এই পোস্টগুলো থেকে আপনারা আপনাদের মানসিক স্বাস্থ্য কিভাবে ঠিক রাখবেন এই বিষয়গুলো বিস্তারিত জানতে পারবেন। এটা আপনাকে আপনার স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। তাই যদি আপনি আপনার মানসিক স্বাস্থ্য কে সুস্থ রাখতে চান তাহলে আপনি এই পোস্টটি ফলো করুন। তাহলে আশা করা যায় আপনি আপনার কাঙ্খিত তথ্য গুলো পেয়ে যাবেন এই পোস্ট থেকে।





    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    শান্তি আইটিতে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url