সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা
সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা বিষয় কি আপনি জানতে চান তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সূর্যমুখী তেলের বিভিন্ন কার্যকারী উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
এছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলে ত্বকের যত্নে সূর্যমুখী তেলের পাঁচটি আশ্চর্য গুন নিয়ে বিস্তারিত জানাবো। তাহলে চলুন দেরি না করে আজকের এই আর্টিকেল থেকে সূর্যমুখী তেলের বিশেষ কিছু উপকারিতা সমূহ কি কি তা দেখে নিই।পোস্ট সূচিপত্রঃ সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা
- সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা
- সূর্যমুখী তেলের বিভিন্ন উপকারী বৈশিষ্ট্য সমূহ
- কিভাবে ত্বকের জন্য সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করবেন
- ত্বকের যত্নে সূর্যমুখী তেলের পাঁচটি আশ্চর্যজনক উপকারিতা
- সূর্যমুখী বীজের প্রকারভেদ
- সূর্যমুখী বীজের পুষ্টিমান
- সূর্যমুখী বীজের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- সূর্যমুখী বীজ ও তেলের উপকারিতা
- সূর্যমুখী ফুলের দ্বারা গঠিত তেলের উপকারিতা
- লেখকের শেষ কথাঃ সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা
সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা
সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা, সূর্যমুখী তেল একটি পুষ্টিমান সম্পন্ন বিখ্যাত
তেল। সূর্যমুখী এক ধরনের বার্ষিক উদ্ভিদ। সূর্যমুখী ফুলের গাছ বিভিন্ন দেশে
বাণিজ্যকভাবে চাষ করে থাকে। সূর্যমুখী ফুলের গাছ প্রায় ৩ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি
পায় এবং ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত মোটা হয়ে থাকে। সূর্যমুখী ফুলের গাছ
সাধারণত সূর্যের দিকে বৃদ্ধি পায়।
সূর্যমুখী সকলকে সৌন্দর্যে মুগ্ধ করে। শুধু মুগ্ধ করে না, এর দ্বারা অনেক উপকারও পাওয়া যায়। ঘি এর পরিবর্তে সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করা হলে, তাকে বনস্পতি মাখন বলে। সূর্যমুখী তেল অন্যান্য তেলের তুলনায় অনেক উপকারী। সূর্যমুখী তেল দ্বারা রান্না করে খেলে হৃদরোগের রোগীদের সমস্যা একটু লাঘব হয়। কারণ সূর্যমুখী তেলে খুব কম পরিমাণ কোলেস্টেরল থাকে। তাছাড়া একটি আছে ভিটামিন এ, ডি এবং ভিটামিন ই। তাই এটি একটি উপকারী তেল।
আরো পড়ুনঃ
লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
সূর্যমুখী তেলের বিভিন্ন উপকারী বৈশিষ্ট্য সমূহ
শরীরের ব্যথা এবং ক্ষয় জলিত রোগ থেকে মুক্তি দেয়ঃ সূর্যমুখী ফুলের বীজে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই, যা শারীরিক বিভিন্ন ব্যথা পোষণ করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও অকালে বার্ধক্য এবং ত্বকের ক্ষতি রোধ করতে সূর্যমুখী তেল খুবই উপকারী। আবার সূর্যমুখী তেলে ভিটামিন ই থাকায় ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
হাড়ের সমস্যা সমাধানেরঃ হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্টের ব্যথা, পেটের আলসার,
হাঁপানি, ত্বকের জ্বালা নানান ধরনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা
অনেক। তাই হাড়ের সমস্যা দেখা দিলে সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করতে পারেন।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেঃ তেলে প্রচুর পরিমাণ সেরেনিয়াম উপাদান থাকে
যা ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আর এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম স্ট্রেস
দূর করে। এই উপাদানটি সাধারণত মাইগ্রেনের সাথে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্ককে খুবই
শান্ত রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ সূর্যমুখী তেলে অনেক পুষ্টি উপাদান আছে।
যেগুলি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করতে সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা অনেক।
চুল পড়া রোধ করতেঃ সূর্যমুখী বীজে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি-৬ থাকে
যা মাথার ত্বকে অক্সিজেনের দ্বারা চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে এবং নতুন ও ভালো
চুল গজাতে সাহায্য করে। তাছাড়াও চুলের প্রাকৃতিক রং সংরক্ষণে সাহায্য
করে।
পুষ্টিগুণে ভরপুরঃ সূর্যমুখী তেলে এত পরিমান পুষ্টিগুণ আছে যার কারণে
কার্যকর ভাবে আমাদের শরীরের দুর্বলতা দূর করে। সূর্যমুখী বীজ আমাদের হারকে সুস্থ
ও প্রচুর মজবুত রাখে। এছাড়াও সূর্যমুখী তেল আমাদের শরীরের কর্ম ক্ষমতাকে বৃদ্ধি
করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও সুজন কি
তেল আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং কপার এর চাহিদাগুলোকে পূরণ করে
দেয়।
দাগ দূর করতেঃ সূর্যমুখী বীজে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের কোলাজেন এবং
ইলাস্টিন তৈরি করে থাকে এবং ত্বকের অমেধ্য দূর করে থাকে। শুধু মুখে তেলে
প্রচুর ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার
সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
ত্বক নরম রাখতেঃ যেহেতু সূর্যমুখী ফ্যাটি এসিডের একটি উৎস। সুতরাং
এটি আমাদের ত্বককে কোমল রাখে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেঃ সূর্যমুখীর বীজে প্রচুর পরিমাণ ফাইটোস্টেরল
থাকে যাহা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। তাই কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে এটি
সাহায্য করে থাকে।
মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করতেঃ সূর্যমুখী বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণ
ট্রিপটোফ্যান, অ্যামিনো এসিড যা শরীরে সেরোটেনিন সাহায্য করে। আর এই
সিরোটেনিন এমন একটি পদার্থ যা শরীরের ক্লান্তি এবং বিষন্নতা দূর করে।
স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখতেঃ সূর্যমুখীতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এর অতিরিক্ত
পরিমাণে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কে কমিয়ে দেয় ফলে স্নায়ুতন্ত্র নিজের কাজ
সঠিকভাবে করতে পারে।
কিভাবে ত্বকের জন্য সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করবেন
আপনার হাতের তালুতে সামান্য সূর্যমুখী তেল নিয়ে গরম হওয়া পর্যন্ত ঘষুন। তারপর
সম্পূর্ণ শরীরে মাখিয়ে নিন। এই তেল যতক্ষণ পর্যন্ত শরীরে শোষিত না হয় ততক্ষণ
পর্যন্ত ম্যাসেজ করুন। এছাড়াও আপনি সূর্যমুখী তেল আছে এমন ধরনের প্রসাধনী কিনতে
পারেন। তাহলে সূর্যমুখী তেলের মতই কাজ করবে।
এছাড়াও আপনি বেশি ভালো ফলাফল পেতে সূর্যমুখী তেলের সাথে কয়েক ফোটা লেমন এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। এতে ভালো ফলাফল পাবেন। এইভাবেই আপনি হাতে তেল নিয়ে ঘুষে গরম হওয়ার পরে গায়ে মাখতে পারেন। এই ভাবেই প্রতিদিন সূর্যমুখী তেল মাখা উচিত।
ত্বকের যত্নে সূর্যমুখী তেলের পাঁচটি আশ্চর্যজনক উপকারিতা
সূর্যমুখী তেলের আছে অনেক উপকার। ত্বকের যত্নের জন্য আপনি সূর্যমুখী তেল ব্যবহার
করতে পারেন। সূর্যমুখী তেল রান্নার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। । এটা
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কেননা এটি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিস সমৃদ্ধ
উপাদান আছে। চলেন প্রতিনিয়ত ত্বকের যত্নে সূর্যমুখী তেলের পাঁচটি উপকারিতা নিয়ে
আলোচনা করা যাক।
ত্বক ময়শ্চারাইজ করার জন্যঃ সূর্যমুখী তেল এমন একটি উপাদান যা শরীরের
শুষ্কতা প্রতিরোধ করে এবং ত্বকের আদ্রতাকে বাড়িয়ে দেয়। কেননা এই তেলে আছে
লিনোলিক এসিডের মত উপাদান যা ত্বককে আদর রাখে। এবং এতে আছে ভিটামিন ই যা ত্বককে
ময়েশ্চারাইজ করে।
বয়সের দাগ দূর করেঃ সূর্যমুখী তেলে থাকে প্রচুর পরিমাণ
এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের বয়সের দাগ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বক থেকে
বিভিন্ন বলরেখা দূর করে দেয়। এছাড়া সূর্যমুখী তেলে আছে ভিটামিন ই যা ত্বকের
কার্যকর। সূর্যমুখী তেলে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং ত্বককে রাখে নরম এবং
তারুণ্যময়।
ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্যঃ সূর্যমুখী তেল যাতে আছে
নন-কমেডোজেনিক উপাদান যা ত্বকের যত্নে খুবই উপকারী। তাই ব্রণ নিয়ে
চিন্তাভাবনা না করে এটি ব্যবহার করতে পারেন। সূর্যমুখী তেলে ভিটামিন ই নামক একটি
শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা ত্বককে ফ্রি রেডিক্যাল থেকে রক্ষা
করে, ফলে ব্রণ দূর হয়ে যায়।
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতেঃ সূর্যমুখী তেলে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি ত্বকে সুস্থ ও মসৃণ রাখে এবং সূর্যের বিভিন্ন অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এছাড়া সূর্যমুখী তেলে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড এবং লিনোলিক অ্যাসিড, যা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
সাধারণ ত্বকের যত্নঃ সূর্যমুখী তেলে ভিটামিন, খনিজ এবং ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা সাধারণত স্বাস্থ্য এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। এছাড়া সূর্যমুখী তেলে আছে ভিটামিন এ, সি, ডি, কপার, জিংক এবং আয়রন নামক বিভিন্ন খনিজ পদার্থ। যেগুলি আপনার ত্বককে সূর্যের বিভিন্ন ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা কর এবং ত্বকের সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করে। এছাড়াও ত্বককে নরম ও কমল রাখে।
আরো পড়ুনঃ
কালোজিরা ও মধু খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
সূর্যমুখী বীজের প্রকারভেদ
সূর্যমুখী বীজ অনেক জাতের আছে। নিচের কয়েকটি জাত তুলে ধরা হলো-
- কালো সূর্যমুখী বীজঃ ছোট কালো সূর্যমুখী বীজ প্রধানত সূর্যমুখী তেল তৈরিতে এবং বিভিন্ন পাখির খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
- ডোরাকাটা সূর্যমুখী বীজঃ ডোরাকাটা সূর্যমুখী বীজ সাধারণত জলখাবার হিসেবে খাওয়া হয়।
- হুলড সূর্যমুখী বীজঃ এগুলি সাধারণত শাঁসযুক্ত বীজ যা সালাদ এবং বেকড পণ্যের মতো খাবারে ব্যবহার হয়
- বিশেষত্বের বীজঃ বিশেষ পণ্যগুলিতে ব্যবহৃত খুবই পাতলা খোসা সহ বীজহীন বীজ।
সূর্যমুখী বীজের পুষ্টিমান
সূর্যমুখী বীজের পুষ্টিমান দেখলে আমরা অবাক হয়ে যাব। কারণ সূর্যমুখী বীজ শক্তিতে পরিপূর্ণ। এই
- বীজগুলোতে প্রতি ৫০ গ্রামে নিম্নলিখিত পুষ্টি রয়েছেঃ
- ২৯২.৫ ক্যালোরি
- লিপিড ৪.২৫ গ্রাম,প্রধানত পলিঅনস্যাচু্রেটেড এবং মনোস্যাচুরেটেড লিপিড
- চর্বি ২৫.৭৫ গ্রাম
- প্রোটিন ১০.৩৮৫ গ্রাম
- ভিটামিন যেমন থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, প্যান্টোথেনিক এসিড, ফলিক এসিড, কোলিন, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই।
- ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফেট, পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং জিঙ্কের মতোও উপাদান রয়েছে।
- সূর্যমুখী বীজ খাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উদ্ভিদ যৌগ যেমন ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ফেনোলিক অ্যাসিড সরবরাহ করে।
সূর্যমুখী বীজের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সূর্যমুখী বীজের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, সূর্যমুখী বীজে আছে অনেক স্বাস্থ্য
উপকারিতা। তবে কিছু অসুবিধা রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে ভাজা বীজ স্বাস্থ্যের জন্য
ক্ষতিকর। যেমনঃ
- সূর্যমুখীর বীজ বিভিন্ন অঙ্গগুলির কার্যকারিতা প্রবাহিত করতে পারে। এছাড়াও সূর্যমুখী বীজে আছে প্রচুর পরিমাণ ফসফরাস উপাদান যা কিডনির কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
- সূর্যমুখী বীজ কতদিন আধা ক্লাস খাওয়া উচিত যাতে শরীরের কোন প্রকার নেতিবাচক প্রভাব না ফেলতে পারে। অতিরিক্ত সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
- সূর্যমুখী বীজ গুলি এত সুস্বাদু হয় যে আপনি যদি এটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে খান তাহলে আপনার কাছে অতিরিক্ত খাওয়া কিছুই না। যদিও এটি উপকারী তবে এটি অতিমাত্রায় গ্রহণ করলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- সূর্যমুখী বীজের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বমি বমি ভাব, গ্যাস্টোইনটেস্টাইনাল ব্যথা এবং ডায়রিয়া হতে পারে।
- সূর্যমুখী বীজে ক্যাডমিয়াম কম পাওয়া যায়। এছাড়াও যদি আমরা বেশি বাদাম খাই, তাহলে আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- দূষিত অঙ্কূরিত বীজ খাওয়ার ফলে অণুজীব আক্রমণ হতে পারে।
- শুধু মুখে বীজের প্রতি সংবেদনশীল ব্যক্তিরা বমি বমি ভাব, শ্বাস নিতে অসুবিধা, ফুসকুড়ি, ফুলে যাওয়া এবং ঠোঁট জ্বলার মত লক্ষণ গুলি দেখা দেয়।
সূর্যমুখী বীজ ও তেলের উপকারিতা
সূর্যমুখী বীজ ও তেলের উপকারিতা অনেক। সূর্যমুখী বীজে আছে প্রচুর পরিমাণ খনিজ ভিটামিন এবং প্রয়োজন ফ্যাটি এসিড, খুব কম পরিমাণ কোলেস্টরেল। সূর্যমুখী বীজ হৃদ রোগের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ই রয়েছে। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
এছাড়াও বাত, হাঁপানি ভালো হয়ে যায়। আরো আছে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম
উভয়ই হাড়ের জোড়ার জন্য উপকারী। এটি খনিজ সমৃদ্ধ যা সুস্থ হাড় গঠনে সাহায্য
করে। আরও আছে উচ্চমানের ফাইটোস্টেরল এবং লিগনান যা ক্যান্সার পোস্ট
ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি ৬ আছে যা মাথার ত্বকের অক্সিজেনের সরবরাহ
করে।
ম্যাগনেসিয়াম যা চুল পড়া কমায় এবং স্বাস্থ্যকর নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। শরীরের অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমিয়ে স্নায়ুতন্ত্রের সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে দেয় যার ফলে হার্ট সুস্থ থাকে। সূর্যমুখী তেল হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা, পেটের আলসার, হাঁপানি ইত্যাদি চিকিৎসায় খুব উপকারী।
আরো পড়ুনঃ
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
সূর্যমুখী ফুলের দ্বারা গঠিত তেলের উপকারিতা
সূর্যমুখী ফুল বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। তৈল বীজ হিসেবে এই ফুলের ভালই কদর রয়েছে। সূর্যমুখী বীজ ও তেলের অনেক উপকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সূর্যমুখী তেল শরীরের কর্মদক্ষতা বাড়ায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার ক্ষমতা বাড়ায়। সূর্যমুখী বীজে লিনোলিক অ্যাসিড থাকে, যা ত্বকের মেলানিন উৎপাদনে বাধা দেয়।
এছাড়াও এই সূর্যমুখী ফুল বা তেল রোদে পোড়া ত্বকের ট্যান দূর করে। এটি
সাধারণত ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রণ, ফুসকুড়ি, ব্ল্যাকহেডস এবং বলিরেখা দুর
করতে সাহায্য করে। সূর্যমুখী বীজে বা তেলে থাকা লিনোলিক এসিড অল্প সময়ে ত্বকের
গভীর ক্ষত নিরময় করে। এছাড়াও আরো কতিপয় বিষয় আছে যেগুলো দূর করতে সূর্যমুখী
তেল ভালোই কাজ করে। যেমনঃ
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
- ত্বকের যত্নের সূর্যমুখী ফুল সাহায্য করে
- প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে
- হাড়ের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে
- শরীরের বিভিন্ন ব্যথা এবং ক্ষয় দূর করতে সাহায্য করে
লেখকের শেষ কথাঃ সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা
সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা নিয়ে আজকে আমি এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আমি আশা করিআপনি যদি সমস্ত বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন। সূর্যমুখী তেলের
উপকারিতা এবং কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হয় এগুলো নিয়ে আমি আলোচনা করেছি। এতে
যদি আপনি উপকৃত হন। তবে আমার এই পোস্ট লেখা সার্থক হবে।
আমি মনে করি যে সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করে আপনি আপনার জীবনের নিত্য নতুন সকল
সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি অনেক রোগ থেকে মুক্তি
পাবেন। তাই বলি যে সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা অত্যাধিক। এই ধরনের সব নিত্য
নতুন পোস্ট পেতে আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে রেগুলার ভিজিট করতে পারেন।
শান্তি আইটিতে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url