কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়

কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় এটি সম্পর্কে অনেকে ঠিকমতো জানে না। যদিও পেটের মেদ কমানো খুবই কষ্টকর। তবে একটু পরিশ্রম করলে এটি করা সম্ভব। তাই আপনাদেরকে নিয়মিত মেদ কমানোর কিছু বিষয় ভালোভাবে অনুসরণ করতে হবে।

কিভাবে-পেটের-চর্বি-কমানো-যায়

পেটের চর্বি কমাতে চাইলে নিয়মিত বেশি ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে এবং কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। এছাড়া আরো কিছু বিষয় আছে যেগুলো আপনারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ পেটের চর্বি কমানো এর উপায়

পেটের চর্বি কমানো এর উপায়

পেটের চর্বি কমানো এর উপায়, যদিও পেটের চর্বি দূর করা খুবই কষ্টকর। তবে কতিপয় নিয়ম আছে যেগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে পেটের মেদ কমানো যায়। চর্বি কমাতে হলে বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবার শরীরে চর্বি জমাতে সাহায্য করে। তাই যত সম্ভব কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া। এতে পেতে চর্বি কমে যাবে।

আরো পড়ুনঃ লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া। এটি আমাদের শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। যা আমাদের শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে। তাই শরীরের মেদ কমানোর জন্য অর্থাৎ পেটের মেদ কমানোর জন্য উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া খুবই জরুরী। এছাড়াও অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে যেমন চিনি।

গ্রিন ট্রি থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে। তাই দুধ বা চিনি দিয়ে বানানো চা না খেয়ে গ্রিন ট্রি খান। খাবার রান্না করার ক্ষেত্রে দারুচিনি, গোলমরিচ, আদা ব্যবহার করুন। কেননা এটি পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। কাঠবাদাম, আখরোট, সামুদ্রিক মাছ এইগুলিতে থাকে ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানিতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন, যা পেটের মেদ কমাতে খুবই কার্যকরী। এছাড়া অনেকে আছে খুব দ্রুত খাবার খায় যা আমাদের পেটের চর্বি জমাতে সাহায্য করে। তাই দূর করতে ধীরে ধীরে খাওয়া উচিত, কেননা ধীরে ধীরে খাওয়ার ফলে হজম দ্রুত হয়। অনেকে আছে যারা খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়ে এর ফলে হজম ঠিকমতো হয় না।

ফলে আমাদের পেটের চর্বি বেড়ে যায়। তাই খাওয়ার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট বসে থাকতে হবে অথবা হাঁটাহাঁটি করতে হবে। এছাড়াও খাবার অল্প অল্প করে বারবার খেতে হবে এতে আমাদের হজম ভালো হবে। ফলে আমাদের পেটের মেদ বৃদ্ধি পাবে না। এছাড়াও কিন্তু চিন্তামুক্ত থাকার মাধ্যমে শরীরের মেদ কমানো যায়।

আমরা পড়াশোনার কাজ অথবা চাকরি বাকির ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে চেয়ারে বসে থাকি এতে আমাদের পেটের মেদ বেড়ে যেতে পারে। তাই দীর্ঘ সময় চেয়ারে না বসে ৪০-৫০ মিনিট পরপর একটু হাটাহাটি করতে হবে। এটা আমাদের পেটের মেদ বাড়বে না।

এছাড়াও নিয়মিত সকালে এক কোয়া রসুন খেলেও পেটের চর্বি কমে যায়। তাই পেটের চর্বি কমাতে নিয়মিত রসুন খেতে পারেন। পেটের চর্বি কমানোর জন্য নিয়মিত ফাইবার যুক্ত খাবার খান। এবং সকল ধরনের ভাজাপোড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে যে খাবারগুলোতে ক্যালরি কম সেই খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়

৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় জানতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে এই পোস্টটি পড়তে হবে। আমরা অনেকে আছি যারা পেটের চর্বি বেড়ে যায় দেখে একটু দৌড়াদৌড়ি, একটু হাঁটাহাঁটি করি এতে আমাদের শরীরের ওজন হয়তো কমে যায় কিন্তু পেটের মেদ কমে না। এই পেটের মেদ দূর করতে কতিপয় বিষয় অবলম্বন করতে হয়, চলেন তা জেনে নেই~

ফাইবারযুক্ত খাবারঃ ফাইবারযুক্ত খাবার আমাদের ক্ষুধার ভাব কমিয়ে দেয়। এতে করে আমাদের শরীরের চর্বির পরিমাণ বাড়বে না। ফলে আমাদের পেটের মেদ কমে যাবে। ফাইবারযুক্ত খাবার যেমন শস্য, ফলমূল, শাকসবজি ইত্যাদি।

কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়াঃ বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবার আমাদের শরীরের চর্বি বৃদ্ধি করে। তাই চর্বি কমাতে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে হবে।

পানি পান করাঃ শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা, কেননা পানি আমাদের শরীরের বিষাক্ত পদার্থগুলোকে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। পানি আমাদের শরীরের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। সুস্থ মানুষের দৈনন্দিন ৪ থেকে ৫ লিটার পানি খাওয়া উচিত।

লেবুর পানিঃ পেটের চর্বি দূর করতে লেবুর পানি খুবই উপযোগী। প্রতিদিন এক গ্লাস পানির সাথে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে খেলে পেটে চর্বি কমে যায়।

গ্রিন টিঃ গ্রিনটিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ও ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। গ্রিন টি শরীরের ওজন ও পেটের মেদ কমাতে খুবই উপযোগী।

মরিচঃ মরিচ আমাদের শরীরের মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করে যা চর্বি কমাতে খুবই উপযোগী। তাই পেটের মেদ কমাতে মরিচ খেতে হবে।

দারুচিনিঃ মরিচের মতো দারুচিনি আমাদের শরীরে মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করে যা চর্বি কমায়। এছাড়াও দারুচিনি শরীরের শর্করা কমিয়ে দেয়, যার ফলে আমাদের ডায়াবেটিসে ঝুঁকি কমে যায়।

আদাঃ আদা আমাদের শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া আজ আমাদের মনের শান্তি-প্রশান্তি দেয়।

লবণ এড়িয়ে চলাঃ পেটের মেদ কমাতে চাইলে অবশ্যই লবণ কম ব্যবহার করা। কেননা অতিরিক্ত লবণ আমাদের বাড়িয়ে দেয়।

অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকাঃ অ্যালকোহল, মদ ইত্যাদি আমাদের তলপেটের চর্বি বাড়িয়ে দেয়। তাই পেটের মেদ কমাতে অ্যালকোহল জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।

পেটের পেশির ব্যায়াম করাঃ পেটের মেদ কমানোর জন্য নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করতে হয়। যেমন মর্নিং ওয়ার্ক, জকিং, ইয়োগ ইত্যাদি। পেটের মেদ কমাতে নিয়মিত ব্যায়ামগুলো করতে হবে।

মানসিক চাপঃ শরীরের চর্বি কমাতে হলে অবশ্যই মানসিক চাপ থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা মানসিক চাপ আমাদের শরীরে এমন কিছু হরমোন ক্ষরণ করে যা মানসিক শান্তির ব্যাঘাত ঘটানোর পাশাপাশি পেটের চর্বি বাড়িয়ে দেয়।

খাবারের সাবধানতাঃ প্রতিদিনের খাবার তালিকায় থাকবে বেশি ফাইবারযুক্ত ও কম ক্যালরিযুক্ত খাবার। আর প্রতিদিন সময় মত খাবার গ্রহণ করতে হবে। আর খাবারের পর সরাসরি পিছনে না শুয়ে একটু বসে থাকতে হবে অথবা হাঁটাহাঁটি করতে হবে। এইভাবেই পেটের চর্বি দূর করা যায়।

পেটের চর্বি কমিয়ে আনার ঘরোয়া উপায়

পেটের চর্বি কমিয়ে আনার ঘরোয়া উপায় গুলো অনেকেই জানতে চাই। আমাদের পেটের মেদ কমানো খুব কষ্টকর। তবে কোথাও না গিয়ে ঘরে বসে কতিপয় বিষয় অবলম্বন করে খুব সহজেই আমাদের পেটের চর্বি কমিয়ে আনা যায়। পেটের চর্বি দূর করতে কতিপায় উপায় গুলি হলো~

  • এক গ্লাস পানির সাথে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিটি সকালে পান করুন।
  • নিয়মিত উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে।
  • প্রতিদিন সকালে জিরার পানি খেতে হবে।
  • দারুচিনি, আদা, রসুন, গোলমরিচ খেতে হবে এগুলো মেদ কমায়।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে পানি মেদ কমাতে সাহায্য করে।
  • কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে।
  • মানসিক চাপ কমাতে হবে, কেননা মানসিক চাপ এমন কিছু হরমোন ক্ষরণ করে যা মেদ বাড়াই।

  • মিষ্টি যুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন চিনি
  • নিয়মিত পেটের ব্যায়াম করতে হবে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে।
  • অ্যালকোহলযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।

তলপেটের মেদ কমানোর উপায়

তল পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানুন। যদিও তলপেটের মেদ কমানো খুবই কঠিন একটি কাজ। তবে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তলপেটের মেদ শুধু ছেলেদেরই নয় মেয়েদেরও বাড়ে। শরীরের অন্যান্য চর্বির মতো তলপেটে চর্বি নয়। তলপেটের চর্বি আমাদের রক্তের মধ্যে প্রবেশ করে।

কিভাবে-পেটের-চর্বি-কমানো-যায়

ফলে রক্তের কোলেস্টেরলের উপর এর অনেক কুপ্রভাব পড়ে। তাই আমাদের তলপেটের চর্বি দূর করা খুবই জরুরী। তবে এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আপনাকে উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে, যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে তলপেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।

কেননা উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার আমাদের তলপেটের মেদ বাড়িয়ে দেয়। মেদ কমাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে। নিয়মিত লেবুর পানি খেতে হবে। ঝাল যুক্ত খাবার অর্থাৎ দারুচিনি, আদা, গোলমরিচ ইত্যাদি দ্বারা সৃষ্টি ঝাল যুক্ত খাবার খেতে হবে। মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। অ্যালকোহল যুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।

পেটের মেদ কমাতে লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, মানসিক চাপ থেকে বিরত থাকতে হবে, মিষ্টি যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। এবং সাদা ভাত খাওয়ার পরিবর্তে লাল ভাত, ও রুটি খেতে হবে, কেননা এগুলো চর্বি কমিয়ে দেয়। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমাতে হবে। খাওয়া দাওয়া ঠিক সময় খেতে হবে এবং কম কম খেতে হবে।

খাওয়ার পর ওই মুহূর্তেই শুয়ে থাকা যাবে না, একটু হাঁটাহাঁটি করতে হবে। তবে ১০-১৫ মিনিট পরে শুলে কোন সমস্যাই হবে না। খাওয়ার পর পরই শোয়ার ফলে আমাদের তলপেটের চর্বি বেড়ে যায়। এছাড়াও তলপেটের মেদ কমাতে গ্রিন টি, আধা-চা খেতে পারেন। এই ছিল তলপেটের মেদ কমানোর উপায়সমূহ।

পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম

পেটের সময় কমানোর ব্যায়াম অনেকেই জানতে চাই। যে কোন ব্যায়ামগুলো করে পেটের মেদ কমানো যায়। আজকের এই আর্টিকেলে কিছু মেদ কমানোর ব্যায়াম নিয়ে আলোচনা করব। চলেন তাহলে কতিপয় ব্যায়ামের সাথে পরিচিত হয়ে নেয়।

সিট আপঃ এই ব্যায়ামটি করার জন্য প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। এরপর দুই পা ভাঁজ করতে হবে। তারপর দুই হাত হাঁটু বরাবর নিয়ে যেতে হবে। এরপর সামনের দিকে উঠে বসতে হবে। উঠে বসার সময় দুই পা সোজা করা যাবে না। এরপর আবার শুয়ে পড়তে হবে। এইভাবে একবার উঠে একবার শুয়ার মাধ্যমে একটি অংশ শেষ হলো। এইভাবে ১২ বার দিয়ে এক সেট পূরণ করতে হয়। 

লেগ রেইসঃ এই ব্যায়ামটি করার জন্য প্রথমে শুয়ে পড়তে হবে। এরপর দুই পা ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে উপরের দিকে তুলতে হবে। এই সময় দুই হাত শরীরে দুই পাশে মাটিতে থাকবে। এরপর দুই পা সোজা অবস্থায় আস্তে আস্তে মাটির দিকে নামাতে হবে, কিন্তু মাটিতে স্পর্শ করানো যাবে না। মাটিতে স্পর্শ করার আগে আবার ৯০ ডিগ্রি কোণে উপরে তুলতে হবে। এই ভাবেই করতে হয় ব্যায়ামটি।

প্লাংকঃ এই ব্যায়ামটি করার জন্য প্রথমে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। এরপর সামনে দুই হাত ভাঁজ করে কনুইয়ের উপর এবং দুই পায়ের নখের উপর ভর দিয়ে একটু উঁচু হয়ে শরীরকে সমান্তরে রাখতে হবে। এরপর ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকতে হবে। এরপর আস্তে আস্তে সময় বাড়িয়ে দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকতে হবে। আস্তে আস্তে আরো বাড়িয়ে দিয়ে ৪০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড থাকতে হবে। এইভাবে নিয়মিত করলে পেটের মেদ দূর হয়ে যাবে।

রাশিয়ান এবস টুইস্টঃ এই ব্যায়ামটি করার জন্য প্রথমে দুই পা সোজা করে মাটিতে বসতে হবে। এরপর দুই পা ভাঁজ করে পায়ের পাতা একটু উপরে তুলতে হবে। এরপর শরীরটাকে একটু পিছনের দিকে নিতে হবে। এবং হাত দুটো দোয়া চাওয়ার ভঙ্গিতে সামনে দিকে তুলে একবার ডান দিকের ডান কোমরের কাছে এবং একবার বাম দিকে বাম কোমরের কাছে যেতে হবে। এতে পেটের মেদ কমে যাবে।

মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়

মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই পোস্টটি পড়তে হবে। মহিলাদের পেটের মেদ বাড়ার এই সমস্যার কারণে অনেক সমস্যায় ভুগে থাকেন। মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর জন্য কতিপয় বিষয় ফলো করতে হবে। যদিও পেটের মেদ কমানো খুবই কঠিন। তবে ধৈর্য ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এ সমস্যা দূর করা যায়। এটি দূর করার উপায় গুলি হল~

তাড়াতাড়ি খাওয়া থেকে বিরত থাকাঃ অনেকে মহিলা আছে যারা তাড়াতাড়ি খাবার খায়। আর এই তাড়াতাড়ি খাওয়ার ফলে আমাদের হজম ঠিকমতো হয় না। ফলে আমাদের তলপেটে চর্বি বৃদ্ধি পায়। তাই তাড়াতাড়ি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

প্রতিদিন সময়ের খাওয়ার সময় মত খেতে হবেঃ অনেক মহিলা আছে যারা সকালের খাবার ঠিকমতো খায় না অর্থাৎ তিন বিলের খাবার ঠিক সময়ে খায় না। এতে শরীরের বিভিন্ন ক্ষতির সৃষ্টি হয়। এছাড়াও পেটে চর্বি বৃদ্ধি পায়।

পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ মহিলাদের তলপেটের চর্বি বৃদ্ধি হওয়া থেকে মুক্তি পেতে চাইলে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। একজন সুস্থ মানুষের দৈনন্দিন চার থেকে পাঁচ লিটার পানি খাওয়া উচিত। কেননা সকল পরিপাককিয়া পানির প্রয়োজন হয়। এছাড়াও পানি আমাদের পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

রোজাঃ রোজা মহিলাদের পেটের চর্বি দূর করার একটি হাতিয়ার। কেন রোজা থাকার কারণে আমাদের শরীরের মধ্যে এমন কিছু হরমোন আসে যা আমাদের সব ক্ষতিকর জীবাণুকে খেয়ে ফেলে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাহলে খুব সহজে আমাদের তলপেটের চর্বি কমে যায়।

লেবুর পানিঃ তলপেটে চর্বি কমাতে লেবু খুবই উপকারী। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানিতে অর্ধেক পরিমাণ লেবুর রস নিয়ে খেলে তলপেটে চর্বি কমে যায়।

গ্রিন টিঃ গ্রিন টি তে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের চর্বি দূর করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত চিনি যুক্ত চার বদলে গ্রিন টি খাওয়া উচিত।

কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারঃ কার্বোহাইড্র যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।কেননা কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার আমাদের তলপেটের চর্বি বৃদ্ধি করে।

ফল ও শাকসবজিঃ নিয়মিত ফল ও শাকসবজি খাওয়া। ফল ও শাকসবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর এই হজম শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে আমাদের তলপেটের চর্বি দূর হয়ে যাবে।

আশঁযুক্ত খাবারঃ তলপেটের চর্বি দূর করতে আঁশযুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। কেননা আঁশযুক্ত খাবার পানি ও তেল শোষণ করে আমাদের শরীরে হজম ক্ষমতাকে ঠিক রাখে। এতে করে আমাদের পেটের চর্বি দূর হয়ে যায়।

ব্যায়ার করাঃ পেটের চর্বি দূর করতে নিয়মিত ব্যায়াম করা আবশ্যক। প্রতিদিনের ব্যায়াম হিসেবে একটু হাটাহাটি করতে পারেন। এছাড়াও পুকুরে একটু সাঁতার কাটতে পারেন। এইভাবে আপনি আপনার পেটের মেদ কমাতে সক্ষম হবেন।

পেটের মেদ কমানোর জন্য ২০ টি খাবারের তালিকা

পেটের মেদ কমানোর জন্য ২০ টি খাবারের তালিকা আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করব। অবশ্যই আপনারা এই খাবারগুলো খাবার মাধ্যমে আপনাদের পেটের মেদ কমাতে পারবেন। তাই আপনারা নিজের এই খাবারগুলো পেটের মেদ কমানোর জন্য নিয়মিত খেতে পারেন~

কিভাবে-পেটের-চর্বি-কমানো-যায়

  • পালংশাক
  • লাউ
  • ফুলকপি
  • গাজর
  • শসা
  • করলা
  • কাজুবাদাম
  • মটরশুটি
  • তরমুজ
  • যব
  • পানি
  • আপেল
  • মরিচ
  • গ্রিন টি
  • কলা
  • আদা
  • রসুন
  • মসুর ডাল
  • মাশরুম
  • ডিম

লেখকের শেষ কথাঃ পেটের চর্বি কমানো এর উপায়

পেটের চর্বি কমানো এর উপায় গুলো যেমন উত্তর ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া, কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান করা, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো, ভাজাপোড়া খাবার থেকে বিরত থাকা আরো কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনারা এই পোস্টটি পড়ে পেটের চর্বি দূর করার উপায় গুলো সম্পন্ন রূপে জানতে পারবেন।

তাই আশা করি আপনারা এই পোস্টটি সম্পূর্ণরূপে পড়ে পেটের চর্বি দূর করার বিষয়গুলি জানতে পারবেন। এবং এ আর্টিকেল থেকে আপনারা যথেষ্ট উপকৃত হবেন। এবং এই আর্টিকেল থেকে আপনারা জ্ঞান অর্জন করে আপনাদের পেটের চর্বি দূর করতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ। আর যদি আপনারা এই পোস্ট থেকে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের বন্ধুর কাছে শেয়ার করে তাদের উপকৃত হওয়ার সুযোগ করে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শান্তি আইটিতে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url