শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল
শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শীতকালে আমাদের ত্বকের
পানি কমে গিয়ে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। এ থেকে মুক্তি পেতে অলিভ অয়েল
খুবই উপকারী। তাই শীতকালে ত্বকের যত্ন নিতে অলিভ অয়েল এর গুরুত্ব অপরিসীম।
অলিভ অয়েল এ আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই ও ভিটামিন ই এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি ও
থাকে যা ত্বকের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশকেও সর্বোচ্চ সুরক্ষায় রাখে। এছাড়া অলিভ
অয়েল সরাসরি ময়েশ্চারাইজার এর সাথে ব্যবহার করা যায়। তাই ত্বকের যত্নে অলিভ
অয়েল ব্যবহার অপরিহার্য।
পোস্ট সূচিপত্রঃ শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল
- শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল
- শীতে অলিভ অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা
- শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম
- ত্বকের যত্নে সবচেয়ে ভালো হেয়ার অয়েল
- ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল তেল চেনার উপায়
- লেখকের শেষ কথাঃ শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল
শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল
শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল খুবই উপকারী। কারণ আমাদের ত্বক শীতকালে রুক্ষ হয়ে
যায় এই রুক্ষ তার দূর করতে অলিভ অয়েল খুবই উপযোগী। অনেকে শুষ্ক ত্বকের সমস্যাই
বারোমাসি ভুগে থাকেন। শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পানি না পেলে অথবা জেনেটিক
কারণে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। এই থেকে মুক্তি পেতে অলিভ অয়েল খুবই
কার্যকরী।
অলিভ অয়েল বাহিরের বিভিন্ন আবহাওয়া থেকে ত্বককে আর্দ্রতা দেয় এবং ত্বকের শুষ্কতা কমিয়ে আনে। শীতের সময় পানির সংস্পর্শ এলে অলিভ অয়েল ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেকেই মনে করে থাকে অলিভ অয়েল শুধুমাত্র শুষ্ক ত্বকের জন্যই কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অলিভ ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ত্বকের শুষ্কতা দূর করার পাশাপাশি আরো অনেক উপকার করে থাকে।
আরো পড়ুনঃলেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের প্রবণতা বেশি দেখা দেয়। অলিভ অয়েল
ব্রণের ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে। রোদে পুড়ে কিংবা নানা কারণে অনেকের
অকালে বয়সে ছাপ পড়ে যায়। মুখের বলি রেখা ও অকালের বয়সের ছাপ কমাতে অলিভ অয়েল
খুবই উপযোগী। তবে তৈলাক্ত ত্বকে খুব বেশি পরিমাণে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা উচিত
নয়, যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা সরাসরি অলিভ অয়েল ব্যবহার না করে মশ্চারাইজারের
সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
অনেকের শরীরের বিভিন্ন অংশে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের দেখা দেয়। ফাঙ্গালের উপর অলিভ অয়েল লাগালে ফাঙ্গালের ব্যাকটেরিয়া অনেকটা কমে যায়। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন হাঁটু, কোনই কাঁধ এইসব জায়গাই কালো দাগ পড়ে গেলে সে স্থানে অলিভ অয়েল ভালো করে লাগালে সেগুলো দূর হয়ে যায়।
হাটু, কনুই ও কাধঁ এইসব জায়গায় কালো দাগ পড়লে সেখানে অলিভ অয়েল ভালো করে
মেসেজ করার ফলে সেসব স্থানে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পেয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
এছাড়াও অলিভ অয়েল ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ফলে ত্বকের হারিয়ে
যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরে আসে ও ত্বকের মলিনতা কমে যায়।
নিকের পায়ের গোড়ালি ফেটে গিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা দেখা দেয়, এ সমস্যা থেকে
মুক্তি পেতে নিয়মিত অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েলের প্রচুর
পরিমাণ ভিটামিন বি ও ভিটামিন কে থাকে যা ত্বকের নানা ধরনের ক্ষত সারিয়ে দেয়।
তাই ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল খুবই উপযোগী একটি উপাদাএ।
শীতে অলিভ অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা
শীতের অলিভ অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা অনেক। রূপচর্চায় এটি একটি অপরিহার্য অংশ।
এতে থাকে প্রচুর পরিমাণ এন্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি, এ সব
উপাদান আমাদের ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। এবং ত্বকের মধ্যে পুষ্টি
যোগায় ফলে ত্বক হয়ে উঠে উজ্জ্বল। চলেন তাহলে দেখে নেয়া যাক শীতে
অলিভ অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা গুলো-
ত্বক নরম ও কোমল রাখেঃ অলিভ অয়েলের থাকে প্রচুর পরিমাণ এন্টি অক্সিডেন্ট
ও এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড। ফলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও কমল
হয়। এবং এর সাথে সাথে ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে। এছাড়াও অলিভ অয়েল শুধু
রক্ত সঞ্চালন বাড়াই না, এর পাশাপাশি শরীরে পুষ্টি ও পৌঁছে দিতে কাজ করে।
ত্বক উজ্জ্বল রাখেঃ আপনি রূপচর্চা করতে প্রতিদিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। অলিভ অয়েল ত্বকের পোরসে জমে থাকা তেল ও ময়লা বের করে আনতে সাহায্য করে। এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন।
চুলের যত্নঃ চুলের যত্নে অলিভ অয়েল খুবই উপকারী। অলিভ অয়েল সামান্য গরম
করে স্কাল্পে ও চুলে লাগিয়ে নিন। এরপর হালকা মেসেজ করে দশ থেকে বিশ মিনিট পরে
শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে আপনার চুল সুন্দর দেখাবে।
চোখের যত্নেঃ চোখের যত্নে অলিভ অয়েল খুব ভালো কাজ করে। চোখের ডার্ক সার্কেলের সমস্ত দূর করতে প্রতিদিন হাতের আঙ্গুলে অল্প অলিভ অয়েল নিয়ে চোখে চারপাশে হালকা করে এক থেকে দেড় মিনিট হালকা করে ম্যাসেজ করুন। ১৫ থেকে ১৬ মিনিট পর ভেজা তুলে দিয়ে হালকা করে মুছে নিন। আপনার চোখের ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
ঠোঁটের যত্নে অলিভ অয়েলঃ ঠোঁটের যত্নে এক চামচ অলিভ অয়েল, সামান্য পরিমাণ পাতি লেবুর রস ও বড় দানা দানাযুক্ত চিনির সাথে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। এরপর চিনি গুলে না যাওয়া পর্যন্ত একটু মেসেজ করুন। এভাবে নিয়মিত করলে আপনার ঠোঁটের মরা কোষ দূর হয়ে যাবে। এবং শীতে ঠোঁট ফাটা থেকে রক্ষা পাবেন।
আরো পড়ুনঃ কালোজিরা ও মধু খাওয়ার উপকারিতা
ইনগ্রোন হেয়ার রিমুভারঃ ইনগ্রোন হেয়ার বা মুখের অবান্তিত লোম
দূর করতে অলিভ অয়েল খুবই কার্যকরী। ইনগ্রোন হেয়ার দূর করতে প্রথমে এক
টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে এর সাথে দশ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল এবং ব্রাউন
সুগার মেশিয়ে নিন। এরপর পুরো মিশ্রণটিকে মুখে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করুন।
ফলে আপনার মুখ থেকে অবাঞ্ছিত লোম বা ইনগ্রোন হেয়ার দূর হয়ে যাবে।
মেকআপ রিমুভারঃ অলিভ অয়েল মেকআপ রিমুভার হিসাবে চমৎকার কাজ করে
থাকে। এটি শুধু ত্বককে নরম রাখে না এর সাথে সাথে মেকআপ এর উপাদান তুলে ফেলতে
সাহায্য করে. এক টুকরা পরিষ্কার তুলে নিয়ে সেটি অলিভ অয়েল তেলে ডুবিয়ে নিয়ে।
এরপর ধীরে ধীরে ঘষে মেকআপ তুলে ফেলুন। এরপর মেকআপ পুরোপুরি তোলা হয়ে গেলে
ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
স্ট্রেচ মার্ক দূর করতেঃ অনেকেই আছে যারা স্ট্রেচ মার্কেটের সমস্যা নিয়ে
ভুগছেন। সাধারণত মোটা থেকে চিকন হলে কিংবা মাতৃত্বের পর এই সমস্যাটা দেখা দেয়।
এই তেল স্ট্রেচ মার্কের গায় নিয়মিত মেসেজ করলে স্ট্রেচ মার্ক এর দাগ দূর
হয়ে যায়।
মুখের সজীবতায়ঃ মুখের সজীবতা বৃদ্ধিতে অলিভ অয়েলের উপকারিতা অনেক।
আমাদের ত্বকের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কোলাজেনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য
করে এই অলিভ অয়েল। এছাড়াও অলিভ অয়েলে থাকা অলিক এসিড ত্বকের নতুন
কোষ জন্মাতে সাহায্য করে, মুখের ত্বককে নরম করে তোলে এবং মুখের স্বাভাবিক
উজ্জ্বলতা বাড়াই।
ত্বক পরিষ্কার রাখতেঃ প্রতিনিয়ত আমাদের ত্বকের উপর ময়লা বা জীবাণু পড়ে।
এই জন্য প্রতিনিয়তই আমাদের ত্বকে পরিষ্কার রাখতে হয়। মেকআপ তোলার জন্য এছাড়াও
মুখের অন্যান্য ময়লা দূর করার জন্য অলিভ অয়েল খুবই কার্যকরী।
শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম
শীতে ত্বকের যত্ন অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়মগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে শুষ্ক
আবাহায় এটি দিনে একবার করতে পারলেই বেশ উপকার পাওয়া যায়। সারা শরীরে এই অলিভ
অয়েল ব্যবহার করা যায়। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ৪-৫ চামচ পানিতে মিশিয়ে
গোসল করলে তা ত্বকের নরম রাখতে সাহায্য করে এবং এর পাশাপাশি সারাদিনে ঘাম হওয়ার
প্রবণতা কমিয়ে দেয়।
এছাড়াও ত্বককে সুস্থ রাখতে এবং উজ্জ্বলতা বাড়াতে,একটি পাত্রে অলিভ অয়েল, মধু এবং ডিমের কুসুম একসঙ্গে মিশিয়ে নিন এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিটে রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। এছাড়া ময়েশ্চারাইজ এর সাথে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। ময়েশ্চারাইজিংয়ের পাশাপাশি মধুতে এন্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বককে সুস্থ রাখে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
এছাড়াও চোখের ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দূর করতে আঙ্গুলে অলিভ অয়েল তেল
নিয়ে ডার্ক সার্কেলের উপর দিয়ে ম্যাসেজ করুন। এতে চোখের ডার্ক সার্কেল
দূর হয়ে যাবে। এছাড়া ইনগ্রোন হেয়ার দূর করতে এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
নিয়ে এর সাথে দশ ফোটা টি ট্রি অয়েল এবং ব্রাউন সুগার মিশিয়ে মুখের উপর ব্যবহার
করলে অবাঞ্ছিত লোম দূর হয়ে যায়।
ত্বকের যত্নে সবচেয়ে ভালো হেয়ার অয়েল
অলিভ অয়েল এর মধ্যে সবচাইতে উৎকৃষ্ট অলিভ অয়েল হচ্ছে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। কেননা এতে যথেষ্ট স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এতে আছে আন্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনাল সমৃদ্ধ, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল আন্টি-ইনফ্লেমেতরি এবং অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য। এটি জেনেটিক্স স্বাস্থ্য ও আবিষ্কারের ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হলো অলিভ অয়েল এর সর্বোচ্চ গ্ৰেড। এক্সট্রা ভার্জিন
অলিভ অয়েল উচ্চমানের এবং এতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই এবং
ফাইটোস্টেরল রয়েছে যা খুবই স্বাস্থ্য উপকারী। তাই বলা যায় যে এক্সট্রা
ভার্জিন অয়েল সবচাইতে ভালো হেয়ার অয়েল।
ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল তেল চেনার উপায়
অলিভ অয়েল তেল কিনার ক্ষেত্রে আপনি করতে পারেন ফ্রিজ টেস্ট। এই ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল একটি বাটিতে নিয়ে দুই ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন এবং এরপর দুই ঘন্টা পরে যদি দেখেন যে অলিভ অয়েল তেল জমে গিয়েছে অথবা লিকুইড আছে তাহলে আপনার অলিভ অয়েলটি খাঁটি নয়। অর্থাৎ এটি ভেজাল যুক্ত অলিভ অয়েল তেল।
আর যদি দেখেন অলিভ অয়েল তেল ফ্রিজের থোয়ার কারণে হালকা জমে গেছে অথবা ঘন হয়ে
গেছে তাই বুঝবেন আপনার এই অলিভ অয়েল তেলটি খাঁটি। অর্থাৎ এতে কোন ভেজাল মেশানো
নেই। এই ছিল অলিভ অয়েল তেল চেনার সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
আরো পড়ুনঃ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
লেখকের শেষ কথাঃ শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল
শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা অপরিসীম। আমার মনে হয় শীতে ত্বকের যত্নের জন্য অলিভ অয়েল তেল সকলের জন্য যথেষ্ট। কেননা এই তেল আমাদের ত্বককে আদ্রতা দান করে এতে আপনার ত্বকের রুক্ষতা দূর হয়ে যাবে। এই তেল ব্যবহারের ফলে ত্বক মলিন থাকে। এছাড়াও ত্বকে ব্রণের কোন সমস্যা থাকলে তা প্রশমিত করতে সাহায্য করে।
আপনারা যদি শীতে ত্বকের সমস্যা নিয়ে অর্থাৎ ত্বকের রুক্ষতা নিয়ে সমস্যায়
থাকেন, তবে আপনারা ত্বকের রক্ষতা দূর করতে এই পোস্টটি পড়তে পারেন। অলিভ অয়েল
ব্যবহারের ফলে ত্বক সুস্থ থাকে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা পারে। তাই আশা করি
আপনারা এই পোস্ট থেকে শীতে ত্বকের যত্ন নেওয়ার বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।
শান্তি আইটিতে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url